বই পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষায় বদল আনছে বাংলাদেশ সরকার
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বিগত বছরগুলোতে চলে আসা শিক্ষা পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য প্রথম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিতে পাঠ্যসূচি থেকে শুরু করে বিভাগ বণ্টনেও বদল অনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই কায়দায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বদলে দেয়া হবে পাঠ্যবইও।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম শ্রেণি থেকে শুরু হয় বিভাগ বিভাজন। তবে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন যে পদ্ধতিটি ভাবা হচ্ছে সেখানে বিভাগ বিভাজন শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে। এর আগে পর্যন্ত একমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হবে শিক্ষার্থীরা। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে হবে অভিন্ন ১০টি বিষয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে এখন যে সংখ্যক বই পড়তে হয়, নতুন পদ্ধতিতে সেই সংখ্যাটি কমবে। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকে এইচএসসি পরীক্ষা একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে দুটি ধাপে নেয়া হবে। এখন কেবলমাত্র কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনেই এভাবে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের পুরো পরিকল্পনাটি সাজাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, এটি একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা। এর খসড়া প্রস্তুত করতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে। আর আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন পদ্ধতিটি বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক কিছু এখনো কেবলমাত্র পরিকল্পনা হয়েই আছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে কেমন ফলাফল হতে পারে সেটিও গবেষণা করে দেখা হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাস নাগাদ পাঁচ বছর মেয়াদি একটি খসড়া তৈরি হয়ে যাবে।
এনসিটিবি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি নামের দশটি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এখন যেখানে দশের অধিক বই পড়ানো হয়। নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে মূল্যায়ন করা হবে। আর দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম মেনে আয়োজন করা হবে এসএসসি পরীক্ষা।
তবে এটি ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা থেকে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে এইচএসসি পরীক্ষা দুই ধাপে নেয়ার পরিকল্পনাটিও ২০২৫ সাল থেকে বাস্তবায়ন হবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পর বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় শিক্ষার্থী বিভাজন হবে। যেখানে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এই তিনটি বিষয় সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে। এছাড়া বিভাগভিত্তিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুসারে পড়বে।
বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের দুটি পত্রে পড়াশোনা করা হয়। তবে নতুন পরিকল্পনায় এসব বিষয়ে আরো একটি পত্র যোগ করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়পত্রে পড়ানো হবে।
এদিকে শিক্ষা পদ্ধতি বদলানোর খসড়া প্রণয়নের ফাঁকে ৫৮টি ধারা সংবলিত শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।
নতুন শিক্ষানীতিতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকের কোচিং-টিউশন এবং নোট-গাইড নিষিদ্ধ করা হবে। তবে চলবে বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার।
প্রস্তাবিত আইনে বিদ্যমান চার স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে- পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক, দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর। এরপরে শুরু উচ্চশিক্ষা স্তর। মাধ্যমিক শিক্ষার ধারা হবে তিনটি- সাধারণ শিক্ষা, মাদরাসা এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা। প্রাথমিক স্তরের ক্ষেত্রে কোনো ধারা উল্লেখ নেই। এতে বিদ্যমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণিতে চলমান পরীক্ষা সম্পর্কেও কিছু বলা হয়নি।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আইন পাশ হওয়ার আগে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে শিক্ষা পদ্ধতি বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি। সেটি কেমন হবে, কি হবে সে ব্যাপারে এখনো কথা বলার সময় হয়নি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পরিকল্পনার খসড়া হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
- রোহিঙ্গাদের জন্য বড় তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- নাস্তানাবুদ শ্রীলংকা, বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
- ওয়ানডে সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রতি রাষ্ট্রপতি’র অভিনন্দন
- আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
- ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে বিআরটিসির ৫৫০ বাস
- স্মার্ট ডাক সেবার যুগে ভাসানচর: পলক
- আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০২ কোটি ডলার
- কী আমাদের অপরাধ, দেশ স্বাধীন করা, উন্নত করা?
- কয়লা তোলার উদ্যোগ
- শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছেন
- পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সমরেশ মজুমদার সাহিত্য পুরস্কার পেলেনে কথা সাহিত্যক সেলিনা হোসেন
- সিলেটে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ৫
- আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক
- আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই : রেলপথ মন্ত্রী
- খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল
- করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন
- কুমিল্লায় অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
- পিনু খানের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
- ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্তকরণ কার্যকর থাকবে : হাইকোর্ট
- মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা
- জন্মদিন উদযাপিত : বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
- ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে হবে
- নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা আসছে ডিসি সম্মেলনে
- বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সারা দেশে বন্ধ হলো ১২২৭ অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক
- জেলেনস্কিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খোঁজার আহ্বান
- ভাষা আন্দোলনের বিজয় বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল
- মুজিব শতবর্ষ ভাষা জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল: এপ্রিলেই শেষ শতভাগ কাজ
- প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- এগিয়ে চলার শপথ
- পিলখানা: প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্ত গণহত্যা এড়াতে সাহায্য করে
- একটানা টাঙ্গাইল শাড়ি পরার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশে বাড়ল মাথাপিছু আয়
- আট লেনে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- ‘দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
- প্রথমবার ছেলেরা মেয়েদের যে ৫ বিষয় খেয়াল করে
- ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
- টাঙ্গাইলের নিরাপদ সবজি বিদেশে রফতানির উদ্যোগ
- টাঙ্গাইলে দু’টি ক্লিনিক সিলগালা, ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা