• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

প্যাঁচার নিরাপদ অভয়াশ্রম সাগরদিঘী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১  

টাঙ্গাইলে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী বাজারের পরিত্যক্ত এলজিইডি অফিসের চারপাশে উঁচু গাছপালা থাকায় সেখানে পাখিদের বসবাসের জন্য একটা নিরাপদ আশ্রয় গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার বড় বড় গাছের বিভিন্ন ডালে প্যাঁচাদের বসবাস দেখে আসছে এলাকাবাসী।

সাগরদিঘী বাজারের এলজিইডি অফিসের চারপাশ অনেকটা ঘন জঙ্গলে আচ্ছাদিত থাকায় প্যাঁচা পাখিদের জন্য এক অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। জানা যায়, প্যাঁচা একটি শিকারি পাখি। এরা নিশাচর প্রাণী। এরা সাধারণত পত্রঝরা বনে বাস করে। প্যাঁচা কাঠঠোকরার তৈরি করা গর্তে বা পাহাড়ে বাসা বানায়। প্রজনন মৌসুমে ৫ থেকে ৭টি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। এরা সাধারণত ছোট পাখি শিকার করে।

তবে মজার বিষয় হল, এদের শরীরের তিনগুণ বড় শিকারও এরা আক্রমণ করতে পারে। বামন পেঁচার মাথার পেছনে চোখের মত চিহ্ন রয়েছে, যা এদের আত্মরক্ষায় কাজে লাগে। অন্যান্য পেঁচা নিশাচর হলেরও এরা দিনের বেলাতেও শিকার করে। আক্রমণাত্মক শিকারি পাখি হলেও আদতে এরা লাজুক প্রকৃতির পাখি।

টাঙ্গাইল সরকারি সাদত কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন জানান, প্যাচা নিয়ে সমাজে নানা কুসংস্কার থাকলেও বাস্তবে এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। প্রযুক্তির ব্যবহার, গাছগাছালি কমে যাওয়া, মানষের নির্মম আচরণ এসব নানা কারনে প্যাঁচা পাখি অনেক কমে গেছে বলে মনে করেন সানোয়ার হোসেন।

সাগরদিঘী বন বিট অফিসের কর্মকর্তা সিদ্দিক মিয়া বলেন, প্যাঁচা একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। এ পাখিটি সচারাচর দেখা যায় না। সাগরদিঘীর পুরনো এলজিইডি অফিসে ঘন জঙ্গল বা বড় বড় গাছ থাকায় এরা এখানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল