• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পেঁয়াজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২০  

বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজে আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে চাই না, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে হবে। 

 

রোববার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে মেহেরপুরের সদর উপজেলার কালিগাংনি গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়েজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

 

মন্ত্রী বলেন, প্রদর্শনী প্লট থেকে নমুনা পেঁয়াজ সংগ্রহে দেখা গেছে, প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৯ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে, যা খুবই আনন্দের ও আশাব্যাঞ্জক। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে এই উচ্চফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজের চাষ সারাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ অত্যন্ত পচনশীল পণ্য। মজুত করে রাখা যায় না। সহজে মজুত করে রাখতে পারলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট হতো না। সুতরাং পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা অথবা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনকে দ্রুত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই উচ্চফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজের চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষিদের বীজ, উপকরণ, প্রযুক্তিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। 

 

স্বল্প সুদে পেঁয়াজ চাষিদের কৃষিঋণ নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি করে দেয়া হবে জানিয়ে ড. রাজ্জাক আরো বলেন, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলাজাতীয় ফসল চাষে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের ঋণ দেয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, এই কৃষিঋণ প্রকৃত কৃষক পায় না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কৃষিঋণ নিয়ে অন্য কাজে লাগায়। 

 

এ কৃষিঋণ যাতে প্রকৃত কৃষক পায়, পেঁয়াজ-রসুনসহ মসলাজাতীয় ফসলের চাষে কাজে লাগে তা কঠোরভাবে এসব কমিটির মাধ্যমে মনিটর করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও কৃষি সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল