• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পুলিশের গুলিতে নিহত স্বামী, জনতার গণধোলায়ে মারা গেল স্ত্রী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২০  

নিজের এক বছরের সন্তানের মিথ্যা জন্মদিনের পার্টি আছে ২৩ শিশুকে ডেকে জিম্মি করা এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। কিন্তু এতেও ক্ষোভ না কমায় তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

 

বৃহস্পতিবার ভারতের উত্তর প্রদেশের ফররুখাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।

 

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের গুলিতে নিহত সুভাষ বাথাম নামের ওই অপহরণকারী খুনের মামলায় প্যারোলে জামিন পাওয়া এক আসামি। সম্প্রতি সে নিজ গ্রাম থেকে তার মেয়ের জন্মদিনের মিথ্যা কথা বলে ২৩ শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর সে নিজের স্ত্রী ও মেয়েসহ ওই শিশুদের জিম্মি করে এবং তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।

 

পুলিশ কর্মকর্তারা ১০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে সুভাষকে আত্মসমর্পণে চাপ দিলেও তাতে সাড়া মেলেনি। পরে বাধ্য হয়েই পুলিশ ভবনটির ভেতরে ঢুকে; গোলাগুলির এক পর্যায়ে জিম্মিকারী নিহত হয়।

 

সুভাষের হাতে জিম্মি ছয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশুকে নিরাপদেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

 

শিশুদের জিম্মি করে রাখার এ ঘটনায় ফররুখাবাদের বাসিন্দারা আতঙ্কের রাত কাটিয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিক দীপক কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘সুভাষ মনে করতেন, খুনের মামলায় তার গ্রেফতার হওয়ার পেছনে গ্রামবাসীদের দায় আছে, তাই তিনি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন।’

 

জিম্মি করার ৭ ঘণ্টা পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে সুভাষ ছয় মাস বয়সী একটি শিশুকে বেলকনি দিয়ে প্রতিবেশীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

 

প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সুভাষ তাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছিলেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

 

উত্তর প্রদেশ পুলিশের মহাপরিচালক ওম প্রকাশ সিং জানান, তার গুলি করার সক্ষমতা সম্বন্ধে অবগত হয়ে এবং তার বোমা মারার হুমকি শুনে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা সবশেষে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িটিতে ঢোকার চেষ্টা করি, পরে গোলাগুলিতে সুভাষ নিহত হন।’

 

গোলাগুলিতে সুভাষের স্ত্রী, দুই পুলিশ সদস্য এবং এক পথচারীও আহত হন বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

তবে পুলিশের গুলিতে জিম্মিকারীর মৃত্যু হলেও রোষ থামেনি এলাকার উত্তেজিত জনতার। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পরে সুভাষের স্ত্রীকেও স্থানীয় জনতা ব্যাপক মারধর করে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল