পা ধুয়া পানি পান করেও প্রাণে রক্ষা পায়নি মীর জাফর!
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯
ব্রিটিশরা তখন হাতের পুতুলের মতো মীর জাফরকে নাচাচ্ছিলো। সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বেইমানি করে মাত্র পাঁচ বছর নবাবি করার সুযোগ পান মীর জাফর। অতঃপর শুরু হয় তার জরাজীর্ণ জীবন... ১৭ জানুয়ারি, ১৭৬৫ সালে ৭৪ বছর বয়সে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হন মীর জাফর আলী খান। ভেঙে পড়ে তার পুরো শরীর। শরীরে তখন অসংখ্য ঘা ও ফোঁড়া। দূষিত রক্ত ও পুঁজ পড়ে দুর্গন্ধ বের হওয়া শুরু হয়।
এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে জঙ্গলে রেখে আসে। তখন মহারাজ নন্দকুমার নামে এক কুচক্রী ব্রাহ্মণ তার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি-ই মাত্র ১০/১২ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরাসীদের চন্দননগর দূর্গ ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কুচক্রী ব্রাহ্মণের পরামর্শেই মীর জাফর এক হিন্দু দেবী কিরীটেশ্বরীর পা ধোয়া পানি ওষুধ হিসেবে সেবন করেন। এভাবে ঈমান বিসর্জন দিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
‘মীর জাফর’ এই নামটি বাংলার মানুষের কাছে এখন একটি গালিস্বরূপ। বেইমানের প্রতিশব্দ। কোনো বাঙালিই তার সন্তানের এই নাম রাখে না। যার সম্পূর্ণ নাম মীর জাফর আলী খান। তার জন্ম ১৬৯১ সালে। ইংরেজ প্রভাবিত বাংলার একজন নবাব তিনি। এই মীর জাফর ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত। তার পিতার নাম আহমেদ নাজাফি। বাবা-মা র দ্বিতীয় সন্তান। পারস্য থেকে একদম নিঃস্ব হয়ে তিনি বাংলায় আসেন ভাগ্যান্বেষণে।
মীর জাফর কেন বিশ্বাসঘাতক হলেন?
বাংলায় এসে বিহারের নায়েব আলীবর্দী খানের অধীনে চাকরি শুরু করেন। ১৭৪০ সালে গিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে আলীবর্দী খানের হয়ে মীর জাফর নবাব সরফরাজ খানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। সেই যুদ্ধে জয়লাভ করেন আলীবর্দী খান। এরপরই মীর জাফরকে মসনবদার পদ প্রদান করেন নবাব আলীবর্দী। নিজের বোন শাহ খানুমকে তার সঙ্গে বিয়ে দেন। সেই সময় তার বেতন হয় ১০০ টাকা। এরপরে তিনি নবাবের সেনা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। নবাব আলীবর্দী খান তার দৌহিত্র সিরাজউদ্দৌলাকে বাংলার নবাব করায় ক্ষুব্ধ হন মীর জাফর।
মীর জাফর প্রধান সেনাপতি হয়ে কখনোই সিরাজউদ্দৌলাকে নবাব হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রতি তিনি কপট আনুগত্য দেখাতেন। সবসময় তিনি চেয়েছেন বাংলার নবাবের পতন। বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভ এর সঙ্গে তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। পলাশীর যুদ্ধে মূলত তার কারণেই ব্রিটিশদের হাতে সিরাজদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। এই ষড়যন্ত্রে ইয়ার লতিফ, জগত শেঠ, রায় দুর্লভ, উঁমিচাদ প্রমুখ সামিল ছিল।
এই যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডি‘য়া কোম্পানি মীরজাফরকে নবাবের মসনদে অধিষ্ঠিত করে। ক্ষমতার লোভে মীর জাফর বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সেটা যেমন সত্যি। তেমনি অনেকের মতে মীর জাফরের মত জৈষ্ঠ্য, অভিজ্ঞ লোক থাকতে বালক অনভিজ্ঞ সিরাজউদ্দৌলাকে নবাব করে ভুল করেছিলেন আলীবর্দী খান। দীর্ঘদিন যুদ্ধ লড়ে একজন বালকের শাসন মানতে পারেননি মীর জাফর।
পলাশীর যুদ্ধেও বেইমানি করে মীর জাফর
পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ৫৩ হাজার সৈন্যসামন্ত ও বিপুল পরিমাণ গোলা বারুদ নিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে ইংরেজদের ছিল মাত্র ৩ হাজার সৈন্য। তবে কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারী মীর জাফরের নির্দেশে কামান থেকে কোনো গুলিই সেদিন বের হয়নি। নিম্ন পদস্থ কয়েকজন কর্মচারী এবং কিছু সৈন্য ছাড়া কেউই যুদ্ধ করেনি। অবশেষে ইংরেজরা সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। পালিত ভাই মোহাম্মাদী বেগের হাতেই সিরাজউদ্দৌলার নির্মম মৃত্যু হয়। সিরাজের হত্যার পর ইংরেজরা মীর জাফরকে সিংহাসনে বসায়। তবে তা ছিল তাদের অধীনস্থ কর্মচারীর মতো।
মীর জাফরের নবাবী
১৭৫৭ সালের ২৪ জুন, মীর জাফর নবাবী গ্রহণ করেন। বাস্তবিক অর্থে তিনি ছিলেন ইংরেজদের আজ্ঞাবহ হাতের পুতুল। ইতিহাসে তাকে বলা হয় ‘ক্লাইভের গাধা’। তিন বছরের নবাবি শাসনের পর ইংরেজদের সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে ১৭৬০ সালে তাকে সিংহাসনচ্যুত করে তারই জামাতা মীর কাশেমকে নবাব করা হয়। পরবর্তীতে জামাতা মীর কাশেমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পুনরায় মীর জাফরকে নবাব করে ইংরেজরা। দাঁত নখ বিহীন পঙ্গু বাঘের মতো মীর জাফর ইংরেজদের হাতের পুতুল রূপেই বাকি জীবন কাটিয়ে দেন। মীর জাফরের সর্বমোট রাজত্বকাল ছিল পাঁচ বছর (১৭৫৭-১৭৬০ এবং ১৭৬৩-১৭৬৫)।
মীর জাফরের বর্তমান বংশধর
মীর জাফর প্রদত্ত বংশতালিকা অনুসারে তারা ছিলেন ইরাকের নাজাফ শহরের সৈয়দ। শেষের দিকে তার বংশধররা ‘মীর’ উপাধি ধারণ করা বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম বৈশিষ্ট্যসূচক ‘মির্জা’ উপাধি ধারণ করতে থাকে। গুঞ্জন রয়েছে পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট আলোড়ন সৃষ্টিকারী ইস্কান্দার মির্জা ছিলেন মীর জাফরের বংশেরই লোক। তবে পলাশীর ট্রাজেডির আড়াই শত বছর পরে এসে তার উত্তরসূরীদের সে বিষয়ে মূল্যায়ন ও আত্মোপলব্ধি কী বিষয়টি জানার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে নাকি মীর জাফরের বংশধরেরা বসবাস করেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তারা স্বীকারই করতে চাননি যে তারা মীর জাফরের বংশধর। পলাশীর যুদ্ধের আড়াইশ বছর পরেও বিশ্বাসঘাতকতার গ্লানি বংশপরম্পরায় এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। হীনমন্যতায়, লজ্জায় নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে বেঁচে আছেন।
বাংলায় মীর জাফরের উত্তরসূরীদের সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতের মুর্শিদাবাদে। মীর জাফরের অষ্টম বংশধর জাফর আলম মির্জা বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। তিনি অস্বীকার করলেও প্রতিবেশীরা জানান তিনি মীর জাফরের উত্তরসূরীদের একজন। জাফর আলম মির্জার বাল্যবন্ধু মুর্শিদাবাদের কবি সলিল ঘোষ নিশ্চিত করেন তিনি মীর জাফরের বংশধর। আগে তারা মীর জাফরের মূল প্রাসাদের পাশেই এক ভবনে বসবাস করতেন। দর্শনার্থীদের বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে পরবর্তীতে তারা অন্যত্র চলে যান।
বেইমানির এই ইতিহাস সংরক্ষণে ভারতের মুর্শিদাবাদে মীর জাফরের প্রাসাদের মূল তোরণের নামকরণ করা হয়েছে ‘নেমক হারাম দেউল’ বা বিশ্বাসঘাতক গেট হিসেবে। আর ইতিহাসের বিকৃতি না ঘটলে ‘নেমক হারাম’ হিসেবেই এই পুতুল নবাবের কথা স্মরণ করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা
- অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা
- ঈদে সরকারি ছুটির সমান ছুটি পাবেন শ্রমিকরা
- ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনছে টিসিবি
- ড. ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের খবর সত্য নয়
- লাগামহীন ওষুধের দাম
- বিএনপি ইহুদি ও ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে
- পানি পরিশোধন প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ২৯ বছর ছিল জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের
- বিষ মেশানো আনারসে সয়লাব বাজার
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- দিনাজপুরে জন্ম নিলো এক পা বিশিষ্ট নবজাতক
- বিকাশ প্রতারক চক্রের ছয় সদস্য আটক
- কুমিল্লায় স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদন্ড
- ইনায়েতুর রহিমের মা নাজমা রহিমের ইন্তেকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
- আব্দুর রহিমের সহধর্মিণী নাজমা রহিমের মৃত্যুতে স্পিকারের শোক
- অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান
- বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের মায়ের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত
- জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদের আগেই সাংবাদিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করতে হবে : ওমর ফারুক
- ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ প্রদান অব্যাহত থাকবে: ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী
- নাজমা রহিমের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
- নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা আসছে ডিসি সম্মেলনে
- বিদেশীদের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ হবে না : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশী প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে
- অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশকে প্রস্তুতি নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে
- এপ্রিলে শেষ হচ্ছে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, চালু অক্টোবরে
- ‘দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
- বেশি দামে খেজুর বিক্রি করায় ৩ দোকানিকে জরিমানা
- মতবিরোধ না রেখে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ৪১তম বিসিএসে ২৪৫৩ নিয়োগের সুপারিশ
- ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
- বঙ্গবন্ধুর কারণেই নারীরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবে ৩ মোবাইল অপারেটর
- আমিরাতের সব ট্রেডে শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- রোজার তাৎপর্য মানুষের জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটানোর আহবান
- ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে শাসনভার জনগণের হাতে তুলে দেন বঙ্গবন্ধু
- ৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- চালু হলো নতুন স্কিম ‘প্রত্যয়’