• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

নির্বাচনেই যিনি অযোগ্য, তাহলে দেশ পরিচালনায় কি করবেন তিনি?

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮  

সাজাপ্রাপ্ত আসামী বেগম খালেদা জিয়া

সাজাপ্রাপ্ত আসামী বেগম খালেদা জিয়া

আসন্ন জাতীয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দুর্নীতির মামলায় ইতোমধ্যে সাজা পেয়ে কারাভোগ করছেন অপশাসনের সমার্থক খালেদা জিয়া।
কেবল তিনিই নন, তার দলের আরও বেশকিছু দণ্ডিত নেতাও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন  ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমানউল্লাহ আমান, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ডা. জাহিদ, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আব্দুল ওহাব প্রমুখ।

দণ্ডিত এসব ব্যক্তির ভোটে আসার সুযোগ মেলেনি আপিল বিভাগেও। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে খালেদার নির্দেশে করা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনের আবেদনে সাড়া দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতার আবেদনে শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে। অর্থাৎ হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকল।

আগের দিন জাহিদ হোসেনসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদনের ওপর শুনানি করে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, দণ্ড বাতিল বা স্থগিত না হলে এবং জামিন না মিললে ভোটে দাঁড়ানো যাবে না। এর বিরুদ্ধে আপিলে গেলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল রাখা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রায় দুই ডজন দণ্ডিত নেতা আপাতত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দরজা খুলল না। নির্বাচনী দরজা তাদের জন্য বন্ধই থাকল।

আইনজীবীগণ বলেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে খালেদাসহ যাদের দুর্নীতি মামলার দুই বছরের বেশি সাজা হয়েছে তারা আপাতত নির্বাচন করতে পারছেন না। সাজা স্থগিতের বিষয়ে সব আইনী প্রক্রিয়া শেষ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খোরশেদ আলম খান বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের ফলে খালেদা জিয়াসহ দণ্ডপ্রাপ্তরা নির্বাচন করতে পারছেন না।

এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, যে ব্যক্তিরা নৈতিক  কারণে ন্যূনতম দুই বছর দোষী সাব্যস্ত হবেন তারা কোনো রকম নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার আসনসহ সব আসনেই বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে।

এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেখানে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণেই অযোগ্য, সেখানে তিনি কীভাবে দেশ পরিচালনায় যোগ্য হবেন! তার অযোগ্যতার প্রমাণ তো তিনি ইতোমধ্যে দিয়েছেন। একবিংশ শতাব্দীর এ সময়ে একজন স্বল্প শিক্ষিত, প্রমাণিত দুর্নীতিবাজের কাছ থেকে দেশ আর কী-ইবা পেতে পারে, সে প্রশ্নই এখন জনমনে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল