• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ধুনটে বন্যার শঙ্কায় আগাম বাঁধ সংস্কার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০  

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ছয় কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কার কাজ দ্রæতগতিতে করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে বাঁধের এই সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। বাঁধ মেরামত করায় ভাঙন জনপদের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।   

 

জানা গেছে, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে বহমান যমুনা নদী। উত্তরে শহড়াবাড়ি থেকে দক্ষিনে মাধবডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে দীর্ঘদিন আগে এই বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। প্রতিবছর দফায় দফায় বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামত করা হয়। এ ভাবেই বছরের বছর টিকে আছে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি। 

 

গত বছর বন্যা ও ভারি বর্ষণে ছয় কিলোমিটার বাঁধের শতাধিক স্থানে ক্ষতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বেড়ে বাঁধে আঘাতের কারণে বাঁধটি ক্ষতি হয়। এছাড়া ভারি বর্ষণে পানি গড়ে বাঁধের দুই পাশে ছোট আকারের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে পুরো বাঁধটি। বাঁধের ভাঙন স্থান সমূহের কোথাও মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। কোথাও আবার বাঁশের তৈরী প্যালাসাইটিং দিয়ে সেখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। এ ভাবে দুই সপ্তাহ ধরে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ স্থান সমূহ মেরামত করা হচ্ছে। 

 

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং কমছে। এতে করে আপাতত বন্যার কোন আশংকা নেই। তবে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধির পরিমান বাড়তে পারে। তখন বড় ধরণের বন্যার আশংকা রয়েছে। সেই দূর্যোগ মোকাবেলা করতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সমূহ জরুরী ভাবে মেরামত করা হচ্ছে। 

 

যমুনা তীরের বাসিন্দা আফজাল হোসেন, লিয়াকত আলী, জমিরন বেগমসহ অনেকে বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভাঙার আতংকে থাকতে হয়। কিন্ত এবার বর্ষার আগেই বাঁধ মেরামত কাজ শুরু করেছেন। এতে আশা করা হচ্ছে, এবার বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা নেই। 

 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারি প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের জরুরী মেরামত কাজের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে বাঁধ মেরামত শেষে কাজের পরিমানের ওপর প্রাক্কলন তৈরী করে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে। চলতি মাসের মধ্যেই মেরামত কাজ শেষ হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষার জন্য সার্বক্ষনিক সর্তক অবস্থায় পুরো বাঁধের ওপর দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল