• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

দেড় শত জন গরিব মানুষকে ফুড ফর অল টীমের সাহায্য

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০  

বাংলাদেশ সহ বিদেশে যে সব মানবিক মানুষগুলো সহযোগিতা করে- “ফুড ফর অল” চ্যারিটি সংগঠনের উদ্যোগকে সফল করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও লাল সালাম। এই উদ্যোগের একজন সাহসী কর্ণধার নাট্যকার ও পরিচালক “শিমুল সরকার” বলেছেন, সবটুকু সাফল্যই তাদের যারা “অর্থ ও সাহস” দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। অসহায় মানুষদের চোখে মুখে যে তৃপ্তির হাসি ‘ফুড ফর অল’ টীম প্রত্যক্ষ করেছে সেটাই অনেক বড় পাওয়া। আমরা কাউকে ত্রাণ দিইনি। আনন্দ ভাগাভাগি করেছি মাত্র। আমরা কাউকে করুণা দেখানোর ধৃষ্টতা দেখায়নি। শুধুমাত্র ভালবেসেই হাতটা ধরেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা আরো ভাল উদ্যোগকে অর্গানাইজ করে সমাজের আলো হতে চাই।

আপনারা পাশে ছিলেন, থাকবেন আশা করি।

 

তিনি আরো অনেক ব্যক্তিগত কৈফিয়ত তুলে ধরেছেন, তাহলো- যদি কেউ মনে করে থাকেন আমি “গরু খাসি” কেটে মানুষকে খাওয়াচ্ছি, যদি এরূপ ভাবনা আপনার মস্তিস্ক বিগড়ে দেয়, তাহলে সেখানেই আমার কৈফিয়ত দেয়ার অনেক কিছু আছে। এমন ইভেন্টের আমি প্রধান সংগঠক মাত্র। ‘শ্রম ও মেধা’ আমার লগ্নি এখানে। দেশে ও দেশের বাইরে বহু কাছের মানুষকে সমন্বয় করে- এই মানবিক কাজটির নেতৃত্ব দিয়েছি মাত্র। আর এ কাজটি করেছি শতভাগ আত্মীয়তা মুক্ত ভাবনায়।

 

তিনি পরিস্কার ভাষায় বলেন, সত্যিকার অর্থে যারা এক কেজি মাংস হাতে পেলে আনন্দে চোখের পানি ঝরাবে- তাদের বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়া হয়েছে। কেন করেছেন? তা জানতে চাইলে বলেন, কারন হলো কষ্ট, খুবই খারাপ সময় ও ক্ষুধাকে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। সেসব সময়ে মানুষের খারাপ যাওয়া সময়ে ৯৯% মানুষই হাসা হাসি করে কিংবা বাজে ব্যবহার করে। মমতা মাখা মনে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেসও করে না কেমন আছো? বন্ধু আত্মীয় এমনকি বাবা মা ও পর হয়ে যায়।

 

তিনি এমনও কথা বললেন, সব চাইতে মজার ব্যাপারটা হলো যে, সব বন্ধু ভাল সময়ে তার পকেট উজাড় করেই হৈ-হুল্লোড় করেছে তাদের আচরণও শকুণের মতো হয়ে যায়। কিন্তু ‘মানুষ ক্ষুধা আর খারাপ সময়ের যন্ত্রণা সহ্য’ করতে পারে না। এ গুলো আমি জানি বুঝি বলেই এমন একটি কাজের নেতৃত্ব দিয়েছি অনেক বছরের থিয়েটার লিডারশিপের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে।

 

তিনি একেবারেই খুব সত্যি ভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরতে চায় তা হলো, এ কাজটিতে ৪০০টাকা থেকে শুরু করে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত কন্ট্রিবিউট করে, অনেকেই মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছেন। নিম্নে তারা হলেন- অনিল রায়, মঞ্জুর আলম, মামুন, মাহমুদা ‍সুলতানা মলি, মশিউর রহমান, নজরুল ইসলাম তোফা, বজলুর রহমান, জামান, মনি, জাহিদ, লিপন, তারেক মাহমুদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, আরিফুল ইসলাম আরিফ, রমজান সরকার, এ্যাড. লায়েবুদ্দিন লাভলু, ফেরদৌস, আরিফ, নাজনিন, আনিন, কাজি, সাফি, কার্ল মার্টিন, মামুন প্রামানিক, সাইফুল ইসলাম, শিপন মাহমুদ, মুক্তি মাহমুদ, সুবির দাস, দেবি পানডে, রাসেল আহমেদ, রিপন সরকার, মনির বিডি, মোতাহার হোসাইন, জামিল

সহ আরো যারা নিজের নাম প্রকশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা আছেন। তিনি এই সকল মানুষদের আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের অর্থ ও অনুপ্রেরণায় কাজটা সম্ভব হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল