• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

দেশের কৃষি আধুনিকায়নসহ ৮টি প্রকল্প অনুমোদন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০  

দেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণসহ ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

 

এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়নে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

 

সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০ হাজার ১০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ হাজার ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এর অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

 

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। আমাদের এগিয়ে যেতে হলে কৃষিকে আধুনিক করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যই হচ্ছে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া।

 

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত), ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ৮৯ লাখ।

 

এছাড়া তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, ব্যয় ২৭৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, ব্যয় ১ হাজার ২১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), ব্যয় ২১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, রংপুর জোন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

 

একনেকে অনুমোদন পাওয়া ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা। দেশের ৬৪ জেলার সব উপজেলায় এটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কৃষিকে ব্যবসায়িকভাবে অধিক লাভজনক ও বাণিজ্যিকভাবে টেকসই করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি মাস (জুলাই) থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়ছে।

 

এটি বাস্তবায়িত হলে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে ফসলের ১০-১৫ শতাংশ অপচয় রোধ করা যাবে। এছাড়া চাষাবাদে ৫০ শতাংশ সময় এবং ২০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা যাবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল