• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীবিহিন বিদ্যালয় দেখিয়ে নিবন্ধনের চেষ্টা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শিক্ষার্থী ছাড়া বিষ্ণাইপাল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চালু দেখিয়ে নিবন্ধনের চেষ্টা এবং টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য এলাকাবাসী প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার বিষ্ণাইপাল গ্রামে ২০০০ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিষ্ণাইপাল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। উক্ত গ্রামের আবু সাঈদ ৩৩ শতাংশ জমি দান করে। ৪ জন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী এবং কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। ২/৩ বছর চলার পর জমি দাতার পক্ষের এক প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগ ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জটিলতার কারণে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক চার লাখ টাকা নিয়ে একজন শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে নতুন করেন নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক হযরত আলী ছাড়া অন্য শিক্ষকরা উপস্থিত আছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী নেই। যে দুই একজন শিক্ষার্থী দেখা তারাও আবার ভাড়া করা শিক্ষার্থী।

প্রথম শ্রেনীতে ৪/৫ বছরের ২২ জন শিক্ষার্থী দেখা যায় কিন্তু তাদের হাতে বই নেই। শিশুদের শিক্ষার বয়সও হয়নি। দ্বিতীয় ১ জন ও তৃতীয় শ্রেনিতে ২জন শিক্ষার্থী। চতুর্থ শ্রেণিতে ছাত্র নেই। প ম শ্রেণিতে পাপ্পু ও নাহিদুল নামে ২ জন শিক্ষার্থী আছে। তারা দুজনই পাশের ভবানীটেকী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র বলে স্বীকার করে। তারা বলে, আমরা আবার প ম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিব। বিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষিকদের কাছে হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তারা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

অর্থেও বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে বিদ্যালয়ের জমিদাতা আবু সাইদ বলেন, চার লাখ টাকা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি যা অনৈতিক। একই গ্রামের আবু তাহেরও একই কথা বলেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষ্ণাইপাল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ বাছেদ বলেন, শিক্ষক নিয়োগ ও ঘুষ বাণিজ্য বিষয়ে তার জানা নেই।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষ্ণাইপাল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমি দুইদিন গিয়েছি। একদিন না জানিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়েছি সেদিন কোন শিক্ষার্থী পাইনি। আরেকদিন জানিয়ে গিয়ে প্রথম শ্রেণিতে কয়েকজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ৩ জন শিক্ষার্থী, চতুর্থ শ্রেণিতে ১ জনও নেই। প ম শ্রেণিতে ২ জন বয়স্ক ছাত্র পেয়েছি। শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য বিষয়ে তার জানা নেই।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল