টাঙ্গাইলে খরস্রোতা ধলেশ্বরীর বুকে ফসলের মাঠ
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২১
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খরস্রোতা ধলেশ্বরী নদীর বুকে এখন নানা ধরণের ফসলের চাষ করা হচ্ছে। বর্ষায় যেখানে শুধু পানি আর পানি বাস্প উড়ায় সেখানে চাষ হচ্ছে নানা জাতের ফসল। ধলেশ্বরী নদীর বুক চিরে যাওয়া খরস্রোতের স্থলে শুকনো মৌসুমে আবাদ করা হয়েছে ইরি-২৮ ও ২৯, বোরো ধান, মাসকলাই, বাদামসহ নানা ধরণের সবজি।
সময়ের বিবর্তনে খরস্রোতা ধলেশ্বরী নদীর বুকে পলি জমে চর উঁচু হতে থাকে। গত এক দশক ধরে এ নদীর বেশিরভাগ অংশে স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করছেন। নদীর বুকে বর্ষা মৌসুম ছাড়া বাকি সময় বিভিন্ন ফসল চাষ হয়ে থাকে।
ধলেশ্বরী নদীর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া, কাকুয়া, কাতুলী, বাঘিল, পোড়াবাড়ি ও ছিলিমপুর ইউপির প্রায় ২৫ কিলোমিটার অংশে ধানসহ ফলানো হচ্ছে নানা ফসল।
নদী দেখে খালও মনে হয় না। কারণ নদীর তীর নেই, গভীরতা নেই, নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় বালু নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধলেশ্বরী নদীর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর ইউপির গোলচত্বর, ছিলিমপুর ইউপির ঝিনাই পাড়া, চর পাকুল্লা, কাকুয়া ইউপির তোরাপগঞ্জসহ বিভিন্ন অংশে নানা ধরণের ফসল চাষ করা হয়েছে। নদী সীমানা এলাকায় সবুজ আর সবুজের সমারোহ। নদীটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে বর্তমানে কৃষকের চাষযোগ্য ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নদীতে সেতু ছাড়া বোঝার কোনো উপায় নেই এটা নদী নাকি ফসলের মাঠ।
কাকুয়া ইউপির কৃষক বারেক সিকদার বলেন, এ নদী দিয়ে এক সময় নৌকা, স্টিমার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল করতো। এখন আর আগের মতো দীর্ঘ সময় নদীতে পানি থাকে না। বন্যার সময় ৩-৪ মাস নদীতে পানি থাকে। বছরের বাকি সময়টা থাকে শুকনো। প্রতি বছর বন্যার সময় পলি মাটি জমে থাকায় ফসল ভালো হয়।
চর পাকুল্লা গ্রামের রাজা মিয়া আর মাহমুদ নগর গ্রামের শহীদ মিয়া বলেন, এক সময় নদী অনেক গভীর ছিল। ফাল্গুন-চৈত্র মাসেও নদীতে নৌকা চলাচল করতো। এখন নদী মরে গেছে। অন্য অঞ্চলের মানুষ এখানে এলে বুঝতেই পারবে না এটা খরস্রোতা ধলেশ্বরী। এখন নদী দেখে খালও মনে হয় না। কারণ নদীর তীর নেই, গভীরতা নেই, নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় বালু নেই। যে কারণে স্থানীয় কৃষকরা নদীতটে ধানসহ সবজি চাষ করে থাকেন।
ছিলিমপুর ইউপি সদস্য মো. আমিন মিয়া বলেন, ধলেশ্বরী নদী বর্তমানে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। পুরো নদীতট বালুর পরিবর্তে উর্বর মাটিতে ভরে গেছে। এ নদীতে ধানসহ যেকোনো ফসল চাষ করলে ফলনও ভাল হচ্ছে।
কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, কাকুয়া ইউপির ওমরপুর, দেলদা, রাঙাচিড়া ও চরপৌলী গ্রামের পাশ দিয়ে ধলেশ্বরী নদী বয়ে গেছে। এ ইউপির পাঁচ কিলোমিটার নদীতে ধান-পাটসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে।
বাঘিল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এ ইউপির লোহাজানি- শিবপুর গ্রামের পাশ দিয়ে ধলেশ্বরী নদীর সীমানা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। প্রত্যেক জায়গায় ফসলসহ সবজি চাষ করা হচ্ছে।
ছিলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাদেক আলী বলেন, এ ইউপির পাকুল্লা, তেজপুর, সুবর্ণতলী গ্রামের পাশ দিয়ে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধলেশ্বরী নদী বয়ে গেছে। আগে নদীতে শুধু বালু আর বালু থাকতো। এখন উর্বর মাটি হওয়ায় ফসল চাষাবাদ করা হয়।
পোড়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমত আলী জানান, তার ইউপির খারজানা, বাউশা, নন্দিপাড়া, ঝিনাই গ্রামের পাশ দিয়ে প্রায় চার কিলোমিটার নদীর সীমানা। এখন নদী নেই বললেই চলে। নদীর পতিত ভূমিতে বন্যার সময় ব্যতিত বাকি সময় ফসল চাষ হচ্ছে।
কাতুলী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, কাতুলী ইউপির ঘোষপাড়া-চকদই গ্রাম দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ধলেশ্বরী নদী বয়ে গেছে। প্রত্যেক জায়গাতেই ধান চাষ করা হয়।
পরিবেশ বাদী সংগঠন বেলার ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র জানান, টাঙ্গাইলের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যমুনা নদী থেকে ধলেশ্বরী নদীর সৃষ্টি হয়েছে। নদীটির দুটি শাখা রয়েছে। একটি শাখা পাশের জেলা মানিকগঞ্জের উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মানিকগঞ্জের দক্ষিণে গিয়ে শেষ হয়েছে। অপরটি গাজীপুরের কালীগঞ্জের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গা এক সময় ধলেশ্বরীর শাখা ছিল। ধলেশ্বরী নদী নানাভাবে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ধলেশ্বরীতেই পতিত হওয়ায় এটাকে ব্যতিক্রমী নদী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ে কথা হয়েছে। ধলেরশ্বরী, লৌহজং, ঝিনাই নদীসহ কয়েকটি নদীকে এ, বি এবং সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ধলেশ্বরীকে এ ক্যাটাগরিতে আনা হয়েছে। অচিরেই নদী খনন ও তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।
- ড্রোন হামলায় এবার ইসরাইলি ১৪ সেনা আহত
- আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে
- আজ থেকে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী শুরু
- চলছে হজ কার্যক্রমের প্রস্তুতি, উদ্বোধন ৮ মে
- টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান
- বিএনপির অনেকে ভোটে
- মজিবুর রহমান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য
- প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল
- আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনুমোদিত সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি : স্পিকার
- ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
- জলাবদ্ধতা দূর করতে বারইপাড়া খাল খনন শেষ করতে হবে: চসিক মেয়র
- সশস্ত্র অবৈধ কোনো সংগঠন থাকবে না : র্যাব মহাপরিচালক
- লালমনিরহাটে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর’ দিবস পালিত
- যারা মুক্তিযুদ্ধ মানেনা তারা স্বাধীন দেশকেও মানে না : কাজী জাফরুল
- মিয়ানমারের আরও ৪৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে
- জয়পুরহাটে ৪০ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী পেল বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা
- মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ, গ্রেফতার ১২২
- পঞ্চগড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- মুজিবনগর দিবসে রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা
- বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে
- তাপদাহ কিছু কিছু জায়গায় কমতে পারে
- আশুলিয়ায় ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
- মুজিবনগর দিবস টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে মানুষের ঢল
- জয়পুরহাটে বেগুন, শসা, করলাসহ অন্যান্য সবজির দাম কমেছে
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- মেয়ের ক্যারিয়ার গড়তে কত টাকা খরচ করলেন বাবা?
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- ইরানের ঢাল হিসাবে আড়ালে রয়েছে যে দুই পরাশক্তি দেশ!
- মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মাহত্যা
- কোরআনের যে দোয়ায় ভালো হয় মাথা ব্যথা!
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- বকশীগঞ্জে শত বছরের সারমারা অষ্টমী মেলায় মানুষের ঢল
- পারমানবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান!
- পঞ্চগড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- মেলান্দহে মুজিবনগর দিবস উদযাপন
- কুড়িগ্রামে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু
- তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তপসিল আজ
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ৩০০ স্টল, কয়েক হাজার প্রাণী, গরুর র্যাম্প শো
- ঘর থেকে পোকামাকড় দূর করার সহজ কিছু উপায়
- প্রবাসী আয়ে সুখবর, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- সিঙ্গাপুর স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরলেন পলক
- বিমানের ঢাকা-রোমের ১৪ ফ্লাইটে ২১০০ যাত্রী পরিবহন
- বান্দরবানে সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৯ সন্ত্রাসী