• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা নয়, প্রশমন চায় বাংলাদেশ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০  

বিরোধপূর্ণ ভারত-চীনের লাদাখ সীমান্ত উত্তপ্ত। চীন ও ভারতের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনায় দু’দেশের বেশ কয়েকজন সৈন্য হতাহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের আশঙ্কায় সহিংসতা বৃদ্ধি চায় না বাংলাদেশ। এ কারণে অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বাংলাদেশ তার বড় দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

 

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বুধবার বলেছেন, ‘ভারত ও চীন উভয়ে বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই জন্য আমরা এই দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। আমরা আশা করি, দুই দেশ আলাপ-আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করবে।’

 

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের এই অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। সব সমস্যার সমাধান আলোচনা করে করতে হবে। উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে।’

 

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘চীনের সৈন্যরা লাদাখে একটা তাঁবু নির্মাণ করে বসে পড়েছে। তারা টহল দেয়ার বাহানা করে বসে পড়েছে। ওই সময় আমাদের নিরস্ত্র সৈন্যরা তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা ফিরে না গিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করে। প্রথমে আমাদের ছেলেরা মার খেয়েছে। সেখানে আমাদের একজন সৈন্য আহত হলে ছেলেরা খ্যাপে যায়। চীনের একটা উদ্দেশ্য হল- সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করে থাকা। কিন্তু উভয় দেশের আলোচনায় সিদ্ধান্ত ছিল কেউই সেখানে থাকবে না।’ তিনি জানান, উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে কথা হয়েছে।

 

পিনাক দাবি করেন, সেখানে ২৩ জন ভারতীয় সৈন্য এবং ৫০ জন চীনের সৈন্য মারা গেছেন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীন তাদের আচরণ পরিবর্তন না করলে ভারতের সৈন্যও মোতায়েন জোরদার আছে। ভারতের সব প্রস্তুতি আছে। তিনি মনে করেন, চীনের সৈন্যরা ফিরে গেলে উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে। সেখানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যায় না।

 

চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ ওই অঞ্চলে চীন ও ভারত স্থিতাবস্থা বজায় রেখে চলে। সেখানে এক ধরনের আন-অফিশিয়াল লাইন অব কন্ট্রোল রয়েছে। সেটা উভয় দেশ মেনে চলে। ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম সেখানে উত্তেজনা দেখা দিল। ভারত সেখানে একটা সড়ক নির্মাণ করতে চেয়েছিল। সেটাই উত্তেজনা সৃষ্টির জন্যে প্ররোচিত করেছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীন ও ভারত উভয় দেশের অর্থনীতি মারাত্মক চাপে পড়েছে। ফলে আমার মনে হয়, ভারত ও চীন কেউই সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চাইবে না। চীন ইতোমধ্যে উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবে বলেছে। উভয়ে উত্তেজনা প্রশমনের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করি।’

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল