• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ঘাটাইলে হলুদ চাষে বিপ্লব

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে লালমাটিতে হলুদের বিপ্লব ঘটেছে। উঁচু-নিচু টিলার যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা মেলে হলুদ গাছের।

পাহাড়ি কৃষকের কাছে লাভজনক ফসলের নাম হলুদ। এ জনপদের মাটিও হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের আয়তনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চল। চলতি বছর উপজেলায় হলুদের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হলুদের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত উপজেলার পাহাড়ি সাতটি ইউনিয়নে হলুদের আবাদ হয়ে থাকে। এ বছর চাষ করা হয়েছে ১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এ ফসলে রোগ-বালাই নেই। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। খরচও অনেক কম। কিন্তু লাভ বেশি।

কুশারিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল লতিফ জানায়, বিঘাপ্রতি সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ হলুদ হয়। দামও বেশ ভালো। গত বছর কাঁচা অবস্থায় মোথা হলুদ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকা এবং শাখা হলুদ সাড়ে ৫০০ টাকায়। প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি হয়েছে মোথা সাড়ে ৩ হাজার এবং শাখা ৩ হাজার টাকায়।

হলুদচাষি সোহেল জানান, ধান বা অন্যান্য ফসলের তুলনায় হলুদের ফলন বেশি লাভও বেশি, খরচ কম। গত বছর বিঘাপ্রতি আমার ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে হলুদ চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।

তবে হলুদচাষিরা জানান, আগে কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের হলুদ বীজ দেওয়া হতো, এখন তা বন্ধ আছে। ওই বীজে ফলন অনেক ভালো হয়। জানা যায় যে প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের হলুদ বীজ বিতরণ করা হতো সেই প্রকল্পটি বর্তমানে বন্ধ আছে। তাই বীজ বিতরণও বন্ধ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, এ বছর উপজেলায় হলুদের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পচন রোগ ছাড়া এ ফসলের তেমন কোনো রোগ-বালাই নেই। তবে উন্নত জাতের বীজ শোধন করে বপন করলে সাধারণত এ রোগ হয় না। আমরা কৃষকদের হলুদ চাষে প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল