• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ঘাটাইলে নুরুল হত্যা মামলায় আটক ৩ জন জেলে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২১  

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে নুরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। তারা হচ্ছেন, উপজেলার সুন্দইল গ্রামের জামাল হোসেন (৪৫), তার মেয়ের জামাই দেওজানা গ্রামের ফজর আলী (২৪) এবং একই গ্রামের অটোচালক শাহ আলম (২২)।

নুরুল ইসলাম উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে, পেশায় ঘোড়ারগাড়ি চালক। গত (১৬ জানুয়ারি) শনিবার কুড়ালিয়া বাইদ এলাকায় ঘোড়দৌড় দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরের দিন তার ছেলে আনিছুর রহমান ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

ঘাটাইল থানা পুলিশ সাধারণ ডাইরীর সূত্র ধরে তদন্ত ও অভিযানে নেমে উপজেলার সুন্দইল গ্রামের জামাল হোসেন (৪৫), তার মেয়ের জামাই দেওজানা গ্রামের ফজর আলী (২৪) এবং একই গ্রামের অটোচালক শাহ আলম (২২) কে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যানুসারে উপজেলার লক্ষিন্দর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশের জঙ্গল থেকে গতকাল সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে নুরুল ইসলামর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম আসামীদের দেয়া তথ্যে জানান, ১৬ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা নুরুল ইসলামকে দেওজানা বাজার থেকে জোড়পূর্বক ব্যাটারি চালিত অটোতে তুলে নেয়। পরে তারা আটোতেই শ্বাসরোধ করে নুরুল ইসলামকে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার লাশ লক্ষিন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচশতগজ পূর্ব দিকে সাগরদিঘী-গারোবাজার পাকা সড়কের পাশে জঙ্গলে ফেলে যায়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে সোমবার রাতে তার হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার নুরুল ইসলাম নিখোঁজ হলে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজ নিয়ে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে সাধারণ ডাইরীর সূত্র ধরে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিহতের মেয়ের শশুর জামাল হোসেনের মেয়ের জামাই ফজর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন ফজর আলী। পরে তার সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জামাল হোসেন (৪৫) ও অটোচালক শাহ আলমকে (২২)-কে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে লক্ষিন্দর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশের জঙ্গল থেকে সোমবার রাতে নুরুল ইসলামর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ছেলে আনিছুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দেওয়াজানা বাজার থেকে জোর করে নুরুল ইসলামকে অটোরিক্সায় তোলেন তারা। পরে অটোর ভেতরেই তার শ্বাসরোধে করেন। রামদেবপুর পর্যন্ত পৌঁছানোর পর নুরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে লক্ষিন্দর প্রাইমারি স্কুলের পাশের জঙ্গলে লাশ ফেলে চলে আসেন।
 
লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাহাদুর মিয়া জানায়, নিহত নুরুল ইসলাম ও জামাল হোসেনের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জামাল হোসেন গ্রীস প্রবাসী। তার স্ত্রীর সাথে নুরুল ইসলামের পরকীয়া থাকার বিষয়টি এলাকায় আলোচনায় আছে। সে কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তবে কি কারনে খুন করা হয়েছে তা অধিক তদন্তের পর জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল