• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে সিআইডি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ানম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্খ আত্মসাতের  মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআডি।  বৃহস্পতিবার (২৫) এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের চুলকানির খাল এলাকায় এই মামলার তদন্ত শুরু করেন। 

ওই মামলার তদš কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিআইডি’র ইন্সপেক্টর চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও তার সহযোগী। এসময় প্রতারণা মামলার স্বাক্ষীগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুমিল সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে কুড়িগ্রাম ময়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থআত্মসাতের কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিঞ্চ আমলী আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি কুড়িগ্রামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ও বিবাদী ও স্বাক্ষীগণের জবানবন্দি রের্কড করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী চরশৌলমারী ইউনিয়নের হলহলিয়া নদীর মুখে বাধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার মিথ্যা কথা বলে কাজ করান। তার নির্দেশনা মোতাবেক বাধটি নির্মাণের জন্য মাপা হয়। উক্ত বাধটির দৈর্ঘ্য ১৬৫০ ফুট ও প্রস্থ ৫০ ফুট। সেই অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী ও ড্রেজার মালিক ময়েজ উদ্দিনের সাথে একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ড্রেজার মালিক চুক্তিনামা অনুযায়ী ওই বাধে ২৫ ফেব্রæয়ারী ২৩ মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে এবং ২০ এপ্রিল ২৩ ইং কাজ শেষ হয়। কাজ শুরুর আগেই জামানত হিসেবে প্রায় পৌনে ৫ লক্ষ টাকা নেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী। অপর দিকে মাটি ভরাটে শ্রমিক ও জ¦ালানী তেল সহ মোট খরচ হয় প্রায় ৪৮ লক্ষাধীক টাকা। এরমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থার (কাবিটা) প্রকল্প থেকে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা ড্রেজার মালিককে দিলেও বাকি প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা এখনও দেয়নি ইমান আলী। ড্রেজার মালিকরা তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে টালবাহনা করতে থাকেন এবং পাওনাদারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। অবশেষে ভুক্তভোগী ময়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। ভুক্তভোগীরা শ্রমের টাকা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 
তদন্তকারি কর্মকর্তা (সিআইডি) চন্দন কুমার চক্রবর্তীর কাছে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল