• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা ও শান্তি-সম্প্রীতি বজায় হাছান মাহমুদের সাথে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক ১৮ এপ্রিল প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে : হানিফ বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি যুক্ত করা হবে ড. ওয়াজেদ মিয়ার সমাধিতে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের শ্রদ্ধা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরো বাড়ানো হবে কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর আহবান বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিপিসি চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা

গোপালপুরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ভেঙ্গে গেল ছাত্রের দাঁদ, শিক্ষক আটক

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে তুচ্ছ ঘটনায় বেতের আঘাতে এক শিক্ষার্থীর দুইটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জাবের বিএসসিকে আটক করেছে গোপালপুর থানা পুলিশ। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হেমনগর শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন শেষ হলে হেমনগর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ জহুরুল ইসলাম জাবের বিএসসিকে আটক করে। তিনি মধুপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।


 
আঘাত পাওয়া শিক্ষার্থীর নাম বিদ্যুৎ মিয়া। সে উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎ একই এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যম ঘাটাইলডটকমে আজ সোমবার সকালে ‘গোপালপুরে বেতের আঘাতে শিক্ষার্থীর দুইটি দাঁত ভাঙলেন শিক্ষক!’ শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হয়।

বিদ্যুৎ জানায়, গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তার শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরে বইয়ের স্পর্শ লাগার অভিযোগে শিক্ষক জাবের তাকে বেত্রাঘাত করেন। এক পর্যায়ে বেতের আঘাত মুখে লাগলে নিচের পাটির দু’টি দাঁত ভেঙ্গে তিন খন্ড হয়ে যায় এবং প্রচুর রক্তপাত হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিদ্যুৎ একজন দিনমজুরের ছেলে। ওই দিন আহত বিদ্যুৎকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন রবিবার গোপালপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার সকালে বিদ্যুতের বাবা জামাল হোসেন গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ হেমনগর শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন শেষে বের হলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে গোপালপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।


 
এ বিষয়ে বিদ্যুতের বাবা জামাল হোসেন জানান, আমার ছেলে বিদ্যুৎ জাবেদ বিএসসির কাছে একসময় প্রাইভেট পড়তো। সে সময়ের ৫০০ টাকা তিনি পেতেন যা অভাবের কারণে পরিশোধ করা হয়ে উঠেনি। আমার মনে হয় সেই ক্ষোভ থেকে তিনি আমার ছেলেকে আঘাত করে দুইটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছেন। আমার ছোট বাচ্চাটি খুব কষ্ট পাচ্ছে।

গোপালপুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আহত ছাত্রের বাবার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থীদের মানসিক বা শারীরিকভাবে শাস্তি দেয়ার কোন নিয়ম নেই। ঘটনার সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল