• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

গোপালপুর হানাদার মুক্ত আজ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০  

একাত্তর সালের এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা দখল করে নেয়। শুরু হয় গণহত্যা, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট। সবচেয়ে বড় হামলা হয় হাদিরা ইউনিয়নে মাহমুদপুর গ্রামে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার হুমায়ন বাঙ্গালী বাহিনীর বাধা পেয়ে ওই গ্রামে পৈশাচিকতায় উল্লাসিত হয়ে নারকীয় ঘটনা ঘটায়।
এরপর ৯ ডিসেম্বর বিকেল ভারতীয় তিনটি মিগ-২১ বিমান গোপালপুর ও ঘাটাইল থানায় উপর একযোগে ট্রাম্পিং ও নুর হোসেন তালুকদার আঙ্গুর কোম্পানি গোপালপুরের গরুহাটি  এলাকা দিয়ে, আর আব্দুল হাকিম কোম্পানি বৈরান নদীর ওপাড় অর্থাৎ পশ্চিম দিক থেকে মর্টার বাহিনী হিসাবে গোপালপুর থানার ক্যাম্পে থেকে পালাতে থাকে।
প্রায় ৮ মাস পাকহানার বাহিনী কর্তৃক গোপালপুরবাসী হত্যা,ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের পর ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর শনিবার টাঙ্গাইল গোপালপুরে মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গোপালপুর থানা দখল করে মুক্তিযোদ্ধার স্বাধ গ্রহণ করে।
আক্রমণ ও দখলের যুদ্ধে দু‘জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আত্মসমর্পন করে এবং ৩‘শ রাজাকার ধরা পরে। তাদের মধ্যে ৭৫ জন রাজাকারকে গুলি করে হত্যা করে একটি ইন্দিরা (কুপে) ফেলে দেওয়া হয়। পাক সেনাদের প্রায় ৮০ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধের হস্তগত করা হয়। কোম্পানির কমান্ডার নুর হোসেন তালুকদার আঙ্গুরের শত্রুসেনাদের কাছ থেকে পাওয়া সকল অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র আসাদুজ্জামান আরজু কোম্পানি কমান্ডের নিকট বুঝে নেন। পরে নুর হোসেন তালুকদার আঙ্গুরের নেতৃত্ব গোপালপুর থানায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করে।
এদিকে, এদিনটিকে স্মরণে আজ (১০ ডিসেম্বর) সকালে আনন্দ র‌্যালি করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।র‌্যালিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে উপজেলা চত্ত্বরে শেষ করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কেএম ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্য এসএম রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল