• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার অস্ট্রেড কমিশনার মনিকা কেনেডিকে ইউসিবি বাংলাদেশের অভ্যর্থনা ইসলামপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: শেখ হাসিনা যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত

গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় পুলিশ সদস্যর এক বছরের কারাদন্ড

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০  

গাইবান্ধায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামী নবীদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। ২২ নভেম্বর রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উপেন্দ্র চন্দ্র দাস আসামি নবীদুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত নবীদুল ইসলাম রাজশাহী রেঞ্জে পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) হিসেবে কমরত। তার বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য উড়িয়া গ্রামে। নবীদুল ওই গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর নবীদুল ইসলাম ফুলছড়ির পূর্ব ছালুয়া  গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে লিপি আক্তারকে বিয়ে করেন। পারিবারিকভাবে বিয়েতে সাত লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর তার বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে দেওয়ার জন্য নবীদুল ইসলাম স্ত্রী লিপিকে চাপ দেন। লিপির বাবা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে প্রায়ই স্ত্রী লিপিকে মারধরসহ নির্যাতন করতো নবীদুল। পরে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসে লিপি বেগম।এ নিয়ে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি নবীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুক আইনে ফুলছড়ি আমলি আদালতে মামলা করেন স্ত্রী লিপি বেগম।

 

মামলায় পুলিশ কনস্টেবল নবীদুল ২০১৯ সালের ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তীতে ছয়দিন কারাভোগের পর দেনমোহরের সাত লাখ টাকা পরিশোধের শর্তে নবীদুলকে জামিন দেন আদালত। অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেনি নবীদুল ইসলাম। এমনকি নবীদুল আর আদালতেও হাজিরা দেননি। এরপর বাদিসহ স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য  প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে কয়েক দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রবিবার এ মামলায় আসামি নবীদুলকে এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আসামি নবীদুল ইসলাম আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেফতারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে সাজার মেয়াদ শুরু হবে বলেও জানান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল