খরগোশ পালনে স্বাবলম্বী মধুপুরের গ্রামের নারীরা
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২০
টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের অর্ধশত হতদরিদ্র নারী সংসারের কাজের পাশাপাশি খরগোশ পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এই গ্রামের অনেক বাড়িতেই নারীরা খরগোশ পালন করছেন। এক সময় এই গ্রামের নারীরা হাঁস-মুরগি এবং গরু-ছাগল পালন করতেন। এখন এসবের পাশাপাশি খরগোশ পালনে লাভের মুখ দেখছেন বেশি। এতে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন এই গ্রামের হতদরিদ্র উদ্যমী প্রান্তিক নারীরা। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে ব্যাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।
মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম পিরোজপুর। মধুপুর শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আনারস, পেঁপে, আদা, হলুদ, কচু, সরিষা, ধান, পাট, আলু, কলা, সবজি এই গ্রামের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল। কৃষি তাদের প্রাণ।
গরু-ছাগল এবং হাঁস-মুরগি পালনে গ্রামের নারীরা এগিয়ে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কৃষি কাজে জড়িত। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তারা এখন খরগোশ পালনে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। এই গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী নিজেদের সংসারের কাজের পাশাপাশি খরগোশ পালন করে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুর গ্রামের প্রায় নারীরই রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫-২০টি করে খরগোশ। তারা জানালেন, প্রতিটি মা খরগোশ ৪-৯টি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে। বাড়িতে পাইকাররা এসে নগদ দামে কিনে নেন। নারীরা সকালে নিজেদের বাড়ির কাজ শেষে মাঠে গিয়ে ঘাস কেটে এনে খরগোশদের খাবার দেন।
নারীরা জানান, খরগোশ পালনের জন্য আলাদা ঘর প্রয়োজন। এ জন্য কাঠের ফালি দিয়ে বাক্স বানিয়ে তিনদিকে কাঠের বেড়া দিতে হয়। সামনের দিকে জালের নেট দিয়ে দরজা বানিয়ে খরগোশ পালন করা হয়। এতে সামনের দিক দিয়ে আলো-বাতাস ঢুকে ও ময়লা পরিষ্কার করতে সহজ হয়। দিনে ও রাতে কয়েকবার খাবার দিতে হয় এবং এই খরগোশ থাকার ঘর বা টং পরিষ্কার করতে হয় প্রতিদিন। খাবারের মধ্যে ঘাস অন্যতম। ঘাসের সঙ্গে ভাত ও ধানের কুড়া মিশিয়ে খাবার দিতে হয়। ছোট বাচ্চাগুলোকে আলাদা রাখতে হয়। যাতে বড় খরগোশের চাপে বা আঘাতে না মারা যায়।
প্রতিদিন ৪-৫ বার দুধ খাওয়াতে হয়। বাচ্চা দেখতে ইঁদুরের মতো। ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাচ্চা বিক্রি করা যায়। প্রতিটি বাচ্চা ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। শীতকালে দাম কিছুটা কম থাকে।
খরগোশ পালনকারী আজিরন বেগম বর্তমানে ১৫টি বড় খরগোশ পালন করছেন। প্রতি মাসে তিনি ১৫-২০টি করে বাচ্চা বিক্রি করেন। এতে তার প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। আর এই আয় দিয়ে তিনি তার কাপড়, নাতি-নাতিনদের পড়াশোনার খরচ চালান। এখন তার আর বাড়তি অর্থের জন্য চিন্তা করতে হয় না।
হনুফা বেগমের (৩৫) রয়েছে ১৬টি বড় মা খরগোশ। প্রতি মাসে খরগোশ বিক্রি করে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আসে তার। নিজের খরচ মিটানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় না।
ফরিদা বেগম (৪০) খরগোশ পালন করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন। বাড়িতে থাকার ঘর দিয়েছেন। স্বামীকে প্রতি মাসে ৩-৪ হাজার টাকা করে সাহায্য করেন। এভাবে শুধু আজিরন, নাজমা, হনুফা, ফরিদাই নন, এই গ্রামের অর্ধশত নারী এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তারা জানান, বর্তমানে পাইকার কম থাকার কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা অথবা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন- এমনটাই জানালেন এই গ্রামের নারীরা।
- তীব্র তাপপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- অনুষ্ঠিত হলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন; কত জন ভোট দিলেন?
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- মানবদেহে সরিষা যেভাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে!
- টেরিটরি অফিসার খুঁজছে এসিআই মটরস
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ
- মুস্তাফিজের ১ উইকেট বয়ে নিয়ে এলো চেন্নাইয়ের হার
- ‘ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর ৬ লেন সড়ক হবে’
- শিব নারায়ণ: জাতীয় পতাকার নকশাকার হয়ে উঠেছিলেন যেভাবে
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগ জাতিসংঘের
- আজ দুবাইয়ের বন্দরে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
- এসডিজি অর্জনে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে রোটারি
- সারাদেশে ৭২ ঘন্টার হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তরের
- উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না অনেকে
- রাজনৈতিক কারণে নয় অপরাধের মামলায় তারা জেলখানায়
- অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই মানুষ মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে
- নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
- পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি
- তুরাগ নদে মিলল যুবকের ভাসমান মরদেহ
- শিশু হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি
- রাজধানীতে যুবকের হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, নিহত ১
- হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড
- ড্রোন হামলায় এবার ইসরাইলি ১৪ সেনা আহত
- আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
- মেয়ের ক্যারিয়ার গড়তে কত টাকা খরচ করলেন বাবা?
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি- ধর্মমন্ত্রী
- শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বকশীগঞ্জে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইরানের ঢাল হিসাবে আড়ালে রয়েছে যে দুই পরাশক্তি দেশ!
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মাহত্যা
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কোরআনের যে দোয়ায় ভালো হয় মাথা ব্যথা!
- ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- বকশীগঞ্জে শত বছরের সারমারা অষ্টমী মেলায় মানুষের ঢল
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু
- ঘরে বসে আয়ের লোভে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ