• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

কে এই মুশতাক? আসুন জেনে নিই

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য দিয়ে সরকারবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য ফেসবুকের I am Bangladeshi নামক পেইজটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলেই অবগত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট ছাড়াও করোনা মহামারী নিয়ে গুজব ছড়িয়ে ২০২০ সালের মার্চ থেকে আলোচনায় আসে এই পেইজটি। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাড়াও কানাডা, যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরি থেকে এই পেইজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো ও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২০২০ সালের মে মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই পেজের সাথে সংশ্লিষ্ট মুশতাক, কিশোরসহ দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয়। 
এই পেইজের কন্টেন্টগুলো যাদের মাধ্যমে প্রচার পায় তার অন্যতম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পোস্ট ও করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীকে গজববর্ষ বলেও কটাক্ষ করে মিনহাজ। 
মিনহাজের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্কযুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর ও মুশতাক I am Bangladeshi  পেইজের অন্যতম প্রধান এডমিন। 
মুশতাক আহমেদ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে হৃদরোগে মারা যান। তার মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক, যা ইতোমধ্যে তার খালাতো ভাই চিকিৎসক নাফিস রহমান নিশ্চিত করেছেন।

 

সরকারবিরোধী পোস্টের কারণে জামিন নামঞ্জুর করে দিদার-মিনহাজ কারাগারে যাবার কারণ কি মনে আছে আপনাদের?
না হলে আরেকবার পড়ুন- কালের কণ্ঠে বিস্তারিত খবর ছিল-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইম কেজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পরপরই এই দুজনকে হাজির করে রমনা থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) জামশেদুল ইসলাম প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে শুনানি হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে রিমান্ডের আবেদনের ওপর আদালত খোলার পর শুনানি হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন। পরে দুজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ডিনজাম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি আদালত নেননি। তিনি আদালত খোলার পর আসামিদের হাজির করে রিমান্ড শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিদারুলকে আটক করে নিয়ে যায় র‌্যাব-৩ এর পরিচয় দিয়ে। মিনহাজকে বুধবার আটক করে র‌্যাব। পরে বুধবার রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 
গত মঙ্গলবার কার্টুনিস্ট কিশোরকে কাকরাইল ও লেখক মুশতাককে লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। একই মামলায় বুধবার আদালতে হাজির করা হলে তাদেরও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। 
গত মঙ্গলবার র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া আরো অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয় মামলায়। মামলার আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, ব্যবসায়ী ও লেখক মোস্তাক আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তা নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের সংগঠক দিদারুল ইসলাম ভূইয়া, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, শাহেদ আলম ও ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে ও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিভিন্ন গুজবও তারা ছড়িয়েছেন। এতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন। 
কার্টুনিস্ট কিশোরের ‘আমি কিশোর’ নামের পেজও পরস্পর যোগসাজসে এসব পোস্ট শেয়ার করেন। এ ছাড়া আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজসে আই এম বাংলাদেশি নামক পেঁজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করে গুজব ছড়ানোর মতো অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছেন। কার্টুনিস্ট কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক চ্যাটিং এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এজাহারে বলা হয় ‘তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। আসামিদের ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপেও ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিঙ্ক: https://www.kalerkantho.com/online/national/2020/05/07/908624

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল