• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

কীভাবে কাজ করবে করোনা ট্রেসার অ্যাপ, কী উপকার মিলবে এই অ্যাপে?

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এলেই সংকেত দিবে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন। গত ৪ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ নিয়ে আমরা বেশ কিছু দিন ধরেই কাজ করছিলাম। অবশেষে আমরা এটি চালু করতে পেরেছি।’

 

কীভাবে কাজ করবে করোনা ট্রেসার অ্যাপ, কী উপকার মিলবে এই অ্যাপে? তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কন্টাক্ট ট্রেসিং কীভাবে কাজ করে? আপনাকেও কি অংশ নিতে হবে? আর এতে তথ্য দিলে সেগুলো কি সুরক্ষিত থাকবে?

 

 এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

 

Corona Tracer BD কী?

কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং হচ্ছে একটি পদ্ধতি যা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়। করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষেত্রে, যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যেতে বলা হয়।

 

 

কীভাবে কাজ করবে Corona Tracer BD?

ফ্রি এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা যখন একে অন্যের কাছাকাছি আসে তখন এটি ব্লুটুথ ব্যবহার করে ট্র্যাক করে। যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায়।

 

এটা সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়। সাথে একটা স্বয়ংক্রিয় লোকেশন ট্র্যাকিং মোবাইল অ্যাপও সংযুক্ত করা হয়।

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সাম্প্রতিক চলাফেরা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবে এবং তারপর তারা যাদের সাথে মেলামেশা করেছে তাদেরকে ফোন করে খবর নেবে।

 

তারা যদি আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় তাহলে ওই ব্যক্তি যার যার সাথে সাম্প্রতিক সময়ে সংস্পর্শে এসেছিল তাদের সবাইকে অ্যাপটি সংকেত পাঠাবে 

 

সহজ করে যদি বুঝতে, স্মার্টফোনে কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ bit.ly/coronatracerbd এই লিংক থেকে ডাউনলোড করার পর লোকেশন এবং ব্লুটুথ অন রেখে বাড়ির বাইরে বের হলে, এটি এক-দুই মিটারের মধ্যে যারা থাকবে তাদের হিস্ট্রিগুলো আমাদের ডাটাবেইসে পাঠাবে। কেউ যদি আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যায় তাহলে স্মার্টফোনের অ্যালার্ট বেজে উঠবে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা যদি কয়েক দিন পরও করোনা পজিটিভ হয়, তাহলেও স্মার্টফোন থেকে সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে এবং তাদেরকে কোয়ারেন্টিন কিংবা করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেবে।।

 

 

Corona Tracer BD কি লকডাউন সমাপ্ত করতে সহায়তা করবে?

অনেক দেশে কঠোরতা সরিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় কখনো লকডাউন করা হয়নি। কারণ তারা শুরুর দিকেই কৌশল হিসেবে বিস্তর আকারে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং গণহারে পরীক্ষা করেছিল।

 

দেশটি শুধু এর নাগরিকদের নিজেদের চলাচলের তথ্যই দিতে বলেনি, সাথে সাথে তাদের ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তারা কোথায় কোথায় ছিল সেগুলো খুঁজে বের করেছে। যার কারণে একদিনে সর্বোচ্চ ৯০০ জন আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে এখন প্রতিদিন মাত্র হাতে গোনা কিছু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল