• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

এফ আর টাওয়ারের অনুমোদন ছিল ১৮ তলা, করা হয় ২৩ তলা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯  

রাজধানীর বনানীতে ১৭ নম্বার রোডে বহুতল এফ আর টাওয়ারের আগুনে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭০ জন। তবে ওই ঘটনার পরই জানা যায়, টাওয়ারের অনুমোদন ছিল ১৮ তলা কিন্তু তা করা হয়েছে ২৩ তলা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের ২৩ তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২২ টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পর বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে এফ আর টাওয়ার আগুন লাগার পরই ওই ভবনের কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন রাজউক। তবে তা খতিয়ে দেখার পর জানা যায় অনুমোদিত নকশা লঙ্ঘন করে তৈরি করা ওই এফ আর টাওয়ার।

রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পরই আমরা যখন তথ্য ঘাটঁতে গেছি, তখনি আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

তিনি আরও বলেন,‘যে ভবনটিতে যখন আগুন লাগে, সেটির ফাইল আমি যতটুকু দেখেছি, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর এটিকে একটি ১৮ তলা ভবন হিসেবে করার জন্য নকশা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। শুধু তাই নয়, রাজউকের অনুমোদিত নকশা থেকে এই ভবনের নকশায় আরও অনেক বিচ্যুতি রয়েছে।’

আবদুর রহমান বলেন, ‘এফ আর টাওয়ারের মালিকপক্ষ ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা পেশ করে যার সঙ্গে রাজউকে সংরক্ষিত নকশার কোন মিল নেই। এতে বুঝা যায়, ২০০৫ সালে যে নকশা তারা সাবমিট করেছিল সেটা বৈধ নকশা ছিল না। শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালের যে মূল নকশা রাজউকের অনুমোদন পেয়েছিল, সেটির সঙ্গেও নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি রয়েছে'। এ ব্যাপারে ২০০৭ সালে রাজউক একটি রিপোর্টও তৈরি করে।

এদিকে রাজউক কতৃপক্ষ দাবি করেন, নকশা না মেনে নির্মাণ করা হয় ভবনটি এই ভবন নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের সবারই দ্রুতই শাস্তি হওয়া উচিৎ।

ভবনটিতে শুধু কি আইন অমান্য করার কারণে আগুন লেগেছে কিনা নাকি এ কারণেই অনিরাপদ ছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে কতৃপক্ষ বলেন, ‘আমাদের নকশা থেকে বিচ্যুতির কারণে ভবনটি অবশ্যই অনিরাপদ হতে পারে। কারণ আমাদের নকশায় অগ্নি-নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হয়।'

ঢাকা শহরে বিগত কয়েক দশকে যে শত শত বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মিত হয়েছে, সেগুলোর কত শতাংশ এরকম ঝুঁকির মধ্যে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এরকম হয়তো আরও অনেক থাকতে পারে। আমরা জানি না।'

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল