“আমার মাকে দেখেছি বাবার পাশে থেকে থেকে সহযোগিতা করেছেন”
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটা সংসারকে সুন্দর করা যায়, একটা প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর করা যায়, একটা দেশকে সুন্দর করা যায়। চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার চেয়ে বড় আর কিছু হয় না। আমার মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেই দৃষ্টান্তই দেখিয়ে গেছেন।’
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে করা অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন।
এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ প্রান্তে অবস্থানরত ১ হাজার ৩০০ সেলাই মেশিন, ১০০টি ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ সময়ই তো আমার বাবা কারাগারে ছিলেন। একটানা দুই বছরও তিনি কারাগারের বাইরে থাকেননি। কিন্তু আমার মা যখন কারাগারে দেখা করতে যেতেন, তখন মা নিজেই বলতেন, চিন্তার কিছু নেই। সব কিছু তিনি নিজেই দেখতেন। আমাদের মানুষ করার দায়িত্ব আমার মায়ের হাতেই ছিল। তার পাশাপাশি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নির্দেশনা দেওয়া বা বাইরের অবস্থা জেলখানায় থাকা আব্বাকে জানানো, বাবার নির্দেশনা নিয়ে এসে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া। এই কাজগুলো তিনি খুব দক্ষতার সঙ্গে করতেন।’
তিনি বলেন, ‘যেসব নেতা কারাগারে বন্দি থাকতেন, কার বাড়িতে কী অবস্থা, তাদের বাড়িতে বাজার আছে কি না, সেখানে সাহায্য করা লাগবে কি না, কোনো আওয়ামী লীগের কর্মী অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করা ও দেখতে যাওয়া সবই বাবার অবর্তমানে মা করতেন। একদিকে সংসার সামলাতেন, অপরদিকে এই কাজগুলোও করতেন। পাশাপাশি সংগঠনকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতেন। সঠিক সিদ্ধান্তগুলো দিতেন। প্রতিটি কাজে আমার মাকে দেখেছি বাবার পাশে থেকে থেকে সহযোগিতা করেছেন। কখনো সংসারের কোনো সমস্যা নিয়ে বিরক্ত করেননি বা বলেনওনি।’
ফজিলাতুন্নেছা অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, পাকের ঘরে গিয়ে রান্না করবেন, সেই সমস্ত চিন্তা তার কখনো ছিল না। আমার মায়ের হাতের রান্না খুবই সুস্বাদু ছিল। গণভবনে বা সরকারি বাসভবনে থাকেননি। না থাকার কারণটা হচ্ছে, তিনি বলতেন, আমার ছেলেমেয়েকে নিয়ে সরকারি বাসভবন বা শানশওকতে থাকব না। তারা বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হোক সেটা আমি চাই না। বিলাসিতায় আমরা যেন গা না ভাসাই, সেটার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছি মাটির দিকে তাকিয়ে চলার। মা কখনো নিজের দৈন্যের কথা বলতেন না। কখনো কোনো চাহিদা ছিল না। নিজে কোনোদিন কিছু চাননি। সবসময় তিনি দিয়ে গেছেন। ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ জারি হওয়ার পর আব্বা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করতেন। এই দু-বছর আমার মা সংসারের স্বাদ পেয়েছিলেন। স্বামীকে কাছে না পাওয়া নিয়েও তার কোনো অনুযোগ ছিল না। এমনকি মৃত্যুর দিন আমার মা জীবন ভিক্ষাও চাননি। তিনি নিজে বাঁচতে চাননি। তিনি সাহসের সঙ্গে সেখানে এ কথাই বলেছিলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করেছ, আমি তার কাছেই যাব। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মা আমার বাবার একজন উপযুক্ত সাথী হিসেবেই চলে গেছেন।’
মায়ের সংগ্রামী জীবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই জন্মের পর তিন বছর থেকেই পিতা-মাতা সব হারিয়ে সারাটা জীবন শুধু সংগ্রামই করে গেছেন। কষ্টই করে গেছেন। কিন্তু এই দেশের স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতার জন্য তিনি যে কত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন সেটা আমরা জানি। এই দেশ স্বাধীন হবে, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে, এই চাওয়াতেই তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আব্বার যে আদর্শ, সেই আদর্শটা তিনি খুব সঠিকভাবে ধারণ করেছিলেন। আর সেটা ধারণ করেই তিনি নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন। কোনো দিন সংসারের কোনো ব্যাপারে বাবাকে কিছু বলেননি, কোনো কিছু চাননি। ফলে আমার বাবা সম্পূর্ণভাবে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েদেরও সেই আর্দশ নিয়েই চলা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সহযোদ্ধা। বঙ্গমাতা অসাধারণ বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সর্বসংহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।’
- তীব্র তাপপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- অনুষ্ঠিত হলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন; কত জন ভোট দিলেন?
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- মানবদেহে সরিষা যেভাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে!
- টেরিটরি অফিসার খুঁজছে এসিআই মটরস
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ
- মুস্তাফিজের ১ উইকেট বয়ে নিয়ে এলো চেন্নাইয়ের হার
- ‘ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর ৬ লেন সড়ক হবে’
- শিব নারায়ণ: জাতীয় পতাকার নকশাকার হয়ে উঠেছিলেন যেভাবে
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগ জাতিসংঘের
- আজ দুবাইয়ের বন্দরে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
- এসডিজি অর্জনে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে রোটারি
- সারাদেশে ৭২ ঘন্টার হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তরের
- উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না অনেকে
- রাজনৈতিক কারণে নয় অপরাধের মামলায় তারা জেলখানায়
- অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই মানুষ মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে
- নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
- পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি
- তুরাগ নদে মিলল যুবকের ভাসমান মরদেহ
- শিশু হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি
- রাজধানীতে যুবকের হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, নিহত ১
- হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড
- ড্রোন হামলায় এবার ইসরাইলি ১৪ সেনা আহত
- আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
- মেয়ের ক্যারিয়ার গড়তে কত টাকা খরচ করলেন বাবা?
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি- ধর্মমন্ত্রী
- শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বকশীগঞ্জে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইরানের ঢাল হিসাবে আড়ালে রয়েছে যে দুই পরাশক্তি দেশ!
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মাহত্যা
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কোরআনের যে দোয়ায় ভালো হয় মাথা ব্যথা!
- ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- বকশীগঞ্জে শত বছরের সারমারা অষ্টমী মেলায় মানুষের ঢল
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু
- ঘরে বসে আয়ের লোভে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ