• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়েছিল: শফীপুত্র (ভিডিও)

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০  

বাবার মৃত্যুর বিষয়ে ভিডিও বার্তা দিতে আমাকে জিম্মি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন আল্লামা শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী। জোরপূর্বক ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার থেকে ওই ভিডিও নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। 

 

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন আল্লামা শফীকে নির্যাতন ও মানসিক নিপীড়ন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান তার পরিবার ও হেফাজতের একাংশের নেতারা।  

 

সেখানে লিখিত বক্তব্যে ইউসুফ মাদানী বলেন, ‘জুনায়েদ বাবুনগরী বারবার বলছেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে। আর এর স্বপক্ষে তিনি আমার ভিডিওবার্তার মাধ্যমে দেয়া স্বীকারোক্তিকে বড় দলিল হিসেবে পেশ করছেন। অথচ আমার কাছ থেকে জোর করে এই স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর আর তা প্রচার করা হয়েছে এক সপ্তাহ পর। 

 

এতেই প্রমাণিত হয়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর হীন উদ্দেশ্যে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ আমি পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তায় বলেছি যে, আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই পরিত্যক্ত স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছিল।’ 

 

শফীপুত্র আরও বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় বলেছি, আমার বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক হয়নি। এরপরও বিগত ২৩ ডিসেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের নামে মামা-ভাগ্নের সংবাদ সম্মেলনে বাবুনগরী আমার সেই স্বীকারোক্তিকেই বড় দলিল হিসেবে পেশ করেছেন। এবং তিনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি-ধামকি দিয়েছেন, আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেছেন। 

 

আমাদের প্রশ্ন, আমার পিতার মৃত্যু যদি স্বাভাবিক হয়ে থাকে তাহলে তদন্তে বাবুনগরী গং-এর এত ভয় কিসের? তার দাবি অনুযায়ী তদন্তে তিনি তো নির্দোষই সাব্যস্ত হবেন। এই মামলায় তো কাউকে অযথা হয়রানি করার জন্য করা হয়নি। 

 

সুতরাং এই মামলার তদন্তে কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি করা হলে এর সম্পূর্ণ দায় বাবুনগরী গংদের ওপরই বর্তাবে।’

 

হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে ৪টি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

 

১. বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আল্লামা শাহ আমদ শফীর ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর’ রহস্য উদঘাটন করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। 

 

২. তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলা তদন্তপূর্বক অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। 

 

৩. আল্লামা শফীর পরিবারের সদস্যদের ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। 

 

৪. আহমদ শফীর রেখে যাওয়া সব দ্বীনি ও সামাজিক অঙ্গনগুলো থেকে তার বিরোধীদের অপসারণ করতে হবে। 

 

প্রসঙ্গত আল্লামা আহমদ শফী গত ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। ৩ মাস পর ১৭ ডিসেম্বর তাকে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন। আসামি করা হয় হেফাজতের ৩৬ জনকে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল