• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পথে বিএনপি-জামাতের রাজনীতি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২০  

আজ ঢাকা শহরে ৯টি বাসে আগুন লাগিয়েছে যুবদলের ক্যাডাররা। যদিও বলা হচ্ছে যে, এটি যুবদলের তৎপরতা। তবে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এর পিছনে জামায়াত শিবির কাজ করেছে। যেখানে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে যুব দলের ক্যাডারদের পাশাপাশি জামাত শিবিরের লোকজনও ছিল। একটি আন্দোলন সৃষ্টির পটভূমি রচনা করার জন্যই এই হামলা ঘটানো হয়েছিল বলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আগুন লাগানোর ঘটনার ফলে বিএনপি-জামাত আশা করছে যে, সাড়াদেশেই একটা অস্থিরতা তৈরি হবে এবং জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা সম্ভব হবে। আবার সেই ধ্বংসাত্মক, হিংসাত্মক রাজনীতির পথে পা বাড়ালো বিএনপি-জামাত।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি জামাত সবসময় সন্ত্রাস এবং সহিংসতার মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। বিএনপি জামাতের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট হত্যার মাধ্যমে বিএনপি অভুদ্বয় ঘটেছিল। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় গেছে এবং ক্ষমতায় টিকে থেকেছে। আবার একটি ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে বিএনপি।

১৯৯১ সালে বিএনপি বিজয়ের পর দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সন্ত্রাস এবং সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি সন্ত্রাস এবং সহিংসতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে। এ সময় বিএনপি জামাতের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিরা তৎপর হয় এবং সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা,২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কিংবা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ বহন করে। ২০০৬ সালে ক্ষমতায় ছাড়ার আগেও ২৮ অক্টোবর ঢাকা শহরের তাণ্ডব চালায় বিএনপি-জামাত। ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার আসে। ২০০৮ এর নির্বাচনের মাধ্যেমে বিএনপি-জামাত প্রায় নিঃশেষিত হয়ে যায়। সংসদে ন্যূনতম আসন নিয়ে বিএনপি-জামাত বুঝতে পারে যে, জনগণের ভোটে বা জনগণের সমর্থনে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর এ কারণেই তখন থেকেই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নেয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু হলে জামাত সারাদেশে তাণ্ডব চালায় এবং সে সময় বিএনপির ছিল তার সহযোগী শক্তি।

এরপর ২০১৪ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাত সারা দেশে আগুন সংসার শুরু করে। বাসে  আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ফেলা মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এই অপতৎপরতার সারাদেশে ভয়াল রূপ ধারণ করে। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার ফলে ২০১৪ নির্বাচন সম্পন্ন হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াওয়ের সহিংসতার রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখা শুরু করে ।

এই ধারায় ২০১৫ সাল পর্যন্ত জ্বালাও-পোড়াও ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে বিএনপি-জামাত জোট। এর ফলে একসময় মানুষের প্রতিবাদে মুখর হয় এবং মানুষ বিএনপি-জামাত জোটের জ্বালাপোড়া ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে। এরপর বিএনপি মোটামুটি নাকে খত দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আবার নতুন করে আন্দোলনের যে পরিকল্পনা করছে, সেখানে সেই পুরনো পথেই তারা ফিরে গেছে। সন্ত্রাস এবং সহিংসতার মাধ্যমেই তারা সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। আজকে বাসে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে এ সত্যটি আর একবার প্রকাশিত হলো। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল