• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

অপরাধ স্বীকার করে পেরোল আবেদন করতে পারেন খালেদা জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করার পরেই কেবল পেরোলের জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন  বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ ময়দানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগদানের পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, যদি তিনি (খালেদা জিয়া) তার অপরাধ স্বীকার করে পেরোলে মুক্তির আবেদন করেন তাহলেই সরকার কেবল তার পেরোল বিবেচনা করতে পারে।

 

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মচারীদের জন্য এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

 

হাছান বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার কোনো কর্তৃত্ব সরকারের নেই। যদি সরকার এ কর্তৃত্ব খাটাতে চায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে; যা সংবিধান অনুমোদন দেয় না।

 

খালেদা জিয়া একমাত্র আইনি পদ্ধতিতেই জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন- একথা পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন অথবা রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির কোনো পথ নেই। তার জেল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।

 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রধান দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে আছেন এবং আদালতই কেবল তাকে মুক্তি দিতে পারে।

 

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে ফোনালাপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) কী চায় তারা তা জানে না। এক সময় তারা বলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে যাবে। অন্যদিকে তার মুক্তির জন্য আমাদের সাধারণ সম্পাদককে ফোন দেয়।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের কোনো আবেদন করা হয়নি। তার পরিবারের বরাত দিয়ে এক ধরনের কথা, আবার দলের পক্ষ থেকে আরেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। তারা আসলে কি চান, সেটা এখনো স্পষ্ট করতে পারেননি।

 

বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসা সম্পর্কে হাছান বলেন, নিয়মিত তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। 

 

তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাকে তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার সবসময় আন্তরিক।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিঘাংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। বরং বিএনপি করে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার ছেলে তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।

 

তিনি আরো বলেন, আবার যখন বেগম জিয়ার দ্বিতীয় ছেলে মৃত্যুবরণ করেন, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বাড়ির দরজায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি দরজা খোলেননি। এগুলো আমরা মনে রাখিনি, প্রধানমন্ত্রী মনে রাখেননি। খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে রেখে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

নিজদলের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ছিলেন। বিদেশ থেকে যে চিকিৎসকরা এসেছিলেন তারাও বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যে চিকিৎসা দিয়েছে তা বিশ্বমানের এবং সঠিক।

 

খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে কারাগারের প্রকোষ্ঠে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে পছন্দের গৃহপরিচারিকাকে রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নার্স রয়েছে। নিয়মিত তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও তাকে সময়ে সময়ে পরীক্ষা করেন। সুতরাং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির কথাগুলো জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া কিছু না।

 

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামস-উল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল