• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন গোপালপুর থানার ওসি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২০  

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে অগ্নিদগ্ধ এক দরিদ্র গৃহবধূর চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবার (২২ এপ্রিল) ১১ টায় তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

 

বুধবার রাত সাড়ে দশটায় ওই গৃহবধূর বড় ভাই আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি হলেন গৃহবধূর স্বামী আইয়ুবনবী।

 

মামলায় যৌতুকের দাবি না মেটানোয় পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, তিন সন্তানের জননী শান্তা আখতারকে (৩০) যৌতুকের জন্য স্বামী আইয়ুব নবী প্রায়ই নির্যাতন করতেন। গত মঙ্গলবার সকালে আইয়ুব শান্তাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেয়ার চাপ দেন। শান্তা যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধোর করা হয়। এক পর্যায়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় আইয়ুব বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

 

প্রতিবেশীরা দগ্ধ শান্তাকে প্রথমে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়।

 

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী জানান, শান্তার দুই হাত, গলা এবং পেট থেকে পুরো বুক পুড়ে গেছে। অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

বুধবার সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।

 

গোপালপুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শান্তার ভাইয়েরা খুবই দরিদ্র। ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য তাদের নেই। অর্থাভাবে তার পরিবার আজ বিকালে শান্তাকে পুনরায় গোপালপুরের বাড়িতে নিয়ে এসে কবিরাজী চিকিৎসা শুরু করে। খবর পেয়ে তিনি শান্তাদের বাড়িতে যান এবং তার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন। রাত ১১ টায় শান্তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

 

শান্তার বড় ভাই আব্দুল লতিফ জানান, তার মুমূর্ষু বোনকে নিজের স্বজন ভেবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করায় ওসি মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল