• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পুরোনো ফোন বিক্রি করেই ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা, বাজিমাত দুই তরুণের

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩  

অতি সাধারণ একটি ব্যবসা। কিন্তু সেটাই ঠিকভাবে করতে পারলে তাতেই মিলতে পারে সাফল্য। সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক্স আইটেম বিক্রি করেই তাই ২০০ কোটির মুনাফা লাভ করলো দিল্লির রিফিট গ্লোবাল নামের এক স্টার্টআপ। সাকেত সৌরভ এবং অবনীত সিং নামের দুই অল্পবয়সী উদ্যোক্তার এই ব্যবসা নিঃসন্দেহে নতুন করে অনুপ্রেরণা দেবে যুবসমাজকে।
সময়ের সঙ্গে অনেকেই আরও একটু দামি স্মার্টফোন চাইছেন। আইফোন, ওয়ানপ্লাস, স্যামসাংয়ের ফোল্ডিং ফোনের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। কিন্তু অনেক সময়ে সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না। সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল, তার কোয়ালিটি নিয়ে। ফলে শুধু ক্রেতারা নন, বিক্রয়কারী সংস্থাগুলোও এটি নিয়ে চিন্তায় থাকে। রিফিট গ্লোবাল চাইছে সেই সমস্যারই সমাধান খুঁজে বের করতে। কোনও ফোনের অবস্থা ঠিক কেমন, তা যাচাই করার একটি স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি তৈরি করেছে সংস্থা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে এক্সচেঞ্জ অফারের সময়ে পুরোনো ফোন জমা হয়। সেই পুরোনো ফোনগুলি কিনে নেয় রিফিট। এছাড়াও ভিভো, ওপো এবং শাওমির মতো কোম্পানির থেকে পুরোনো ফোন কেনে তারা।

এই পুরানো ফোনগুলো নিয়ে সংস্থাটি তাদের মোবাইল ডায়াগনস্টিক অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ডিভাইসের মোট ৩৭টি কোয়ালিটি চেক করা হয়। অর্থাৎ, RAM-এর অবস্থা কেমন, প্রসেসর কেমন, ব্যাটারির অবস্থা কেমন, ইত্যাদি যাচাই করে দেখে নেয়া হয়।

এসবের ভিত্তিতেই ফোনের বিক্রয় মূল্য স্থির করে সংস্থা। রিফিট-এ যে শুধু ফোনই বিক্রি হয়, এমনটা কিন্তু নয়। পুরানো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন এবং এয়ার কন্ডিশনারও বিক্রি করে সংস্থা।

২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রিফিট গ্লোবাল প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যা কিনা বেড়ে ১৯ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৪৪ কোটি টাকার আয়ের রেকর্ড করেছে এই স্টার্ট-আপ। রিফিট-এর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয় ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মাত্র এক বছরেই ৫০ হাজার ফোন বিক্রি করেছে তারা।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল