ফজরের সময় জেগে উঠার কার্যকরী কৌশল
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৩

ঈমান আনার পরেই মুসলমানদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর জামাতে নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কেউ কেউ এটাকে ওয়াজিব বলেছেন। হাদিস শরিফে জামাতের প্রতি বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
এক হাদিসে এসেছে, ‘জামাতের নামাজ একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদা রাখে’। (বুখারি, হাদিস: ৬৪৫; মুসলিম, হাদিস: ৬৫০)
এক নামাজে মহানবী (সা.) কিছু লোককে পেলেন না। তিনি বললেন, আমার ইচ্ছে হয়, কাউকে কাঠখড়ি আনতে বলি। তারপর আজান দিতে বলি। এরপর কাউকে নামাজ পড়াতে বলি। অতঃপর যারা জামাতে আসে না, আমি তাদের কাছে যাই ও কাঠখড়ি জ্বালিয়ে তাদেরসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দিই’। (বুখারি, হাদিস: ৬৪৪; মুসলিম, হাদিস: ৬৫১)
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মধ্যে এশা ও ফজরের জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ দুই সময়ে মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে।
ফলে জামাত দুটিতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে। এজন্য হাদিসে এর প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই।
তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে’। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫৫৪)
সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি। এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম’। (মুসলিম, হাদিস: ৭২৫)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ কোরো না’। (আবু দাউদ, হাদিস: ১২৫৮)
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, বহু মুসলমান নামাজই পড়ে না। আর যারা নামাজি, তাদের মধ্যে অনেকে ফজরের নামাজ নিয়মিত পড়তে পারেন না। যারা নিয়মিত পড়েন, তাদের মধ্যেও অনেকে ফজরের জামাতে শরিক হতে পারেন না। অলসতা ছাড়াও এর অন্যতম কারণ যথা সময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারা। আর তাই এখানে আমরা ফজরের সময় জাগ্রত হওয়ার কিছু কৌশল তুলে ধরার চেষ্টা করেছি-
> আল্লাহকে চেনা: ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার প্রধান কৌশল হলো আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব সম্পর্কে জানা। আপনি যদি জানেন আপনি কার ইবাদত করছেন, আর এ-ও জানেন যে তার নির্দেশ হলো, আপনি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তার ইবাদত করুন, তাহলে আপনি জেগে উঠবেনই!
> আন্তরিকতা: ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার ব্যাপারে আন্তরিক হোন। এটা ভাববেন না যে; যদি আমি ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারি তাহলে ফজরের নামাজ পড়ব, বরং আন্তরিকভাবে প্রতিজ্ঞা করুন যে আমি ফজরের ওয়াক্তে জেগে উঠবোই, ইনশাআল্লাহ!
> ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করা: মহানবী (সা.) বারা ইবনে আজেব (রা.)-কে বলেছিলেন, যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের ওজুর মতো ওজু করবে’। (মুসলিম, হাদিস: ৪৮৮৪)
> বিতরের নামাজের পর দোয়া: শেষ রাতে উঠার অভ্যাস না থাকলে বিতরের নামাজ আদায় না করে ঘুমাবেন না। আর বিতরের নামাজ আদায়ের সময় আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করুন, যাতে তিনি আপনাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করেন।
> কোরআন পাঠ করে নিদ্রায় যাওয়া: মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি অবশ্যই আপনার মনোযোগকে ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার দিকে নিবদ্ধ করবে। মহানবী (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার আগে সূরা সাজদাহ ও সূরা মুলক (৩২ ও ৬৭ নম্বর সূরা) পাঠ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
> ঘোষণাকৃত পুরস্কারের কথা স্মরণ: মুনাফেক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার হাত থেকে বেঁচে থাকা, শেষ বিচারের দিন আলোকিত হওয়া, সারাদিন আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকা, জীবন থেকে অলসতা কেটে যাওয়া, কর্মঠ হওয়া ইত্যাদি পুরস্কারগুলোর কথা স্মরণ করুন, ইনশাআল্লাহ আপনি জেগে উঠতে পারবেন।
> জাগিয়ে দেওয়ার জন্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের বলা: পরিবারের অন্য সদস্য কিংবা বন্ধুদের বলুন আপনাকে জাগিয়ে দিতে। আর পরস্পরকে সাহায্য করুন। যদি আপনি আগে জেগে উঠেন, তাহলে অন্যদেরও জাগিয়ে তুলুন।
> দুপুরে ভাত খেয়ে সামান্য ঘুম: আরেকটি কৌশল জানা যায় সুন্নাহ থেকে। আর তা হলো, দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর সামান্য ঘুমানো। আরবিতে এটাকে ‘কায়লুলা’ বলা হয়। এই সামান্য বিশ্রামের ফলে রাতের দীর্ঘ ঘুম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এই সামান্য ঘুম আপনাকে করে তুলবে উজ্জীবিত। মস্তিস্ককে করে তুলবে সতেজ। ফলে অলসতার ঘোর কেটে যাবে। ফজরের সময় জেগে উঠতে পারবিন।

- স্বতন্ত্রপ্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহির মনোনয়ন বাতিল
- চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ
- হালাল পণ্য তৈরি, বিক্রিতে সনদ লাগবে
- দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২০৪
- তৈরি পোশাকের নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ
- তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ সরকারের
- যার জনপ্রিয়তা আছে সে জিতে আসুক
- গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল খালাসের যুগে বাংলাদেশ
- কিছু বিদেশি রাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ যেন তাদের হুকুম মতো চলে: জয়
- কঠোর অবস্থানে ইসি
- ইসির নির্দেশে দুই জেলার ডিসি বদলি
- যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’র উদ্বোধন আজ
- নভেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড ১২ লাখ ৪ হাজার কর্মী বিদেশ গেছেন
- বিএনপির ৫২ নেতা দল ত্যাগ করে নির্বাচনে
- বৈদেশিক মুদ্রায় রাখা যাবে আমানত
- জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর
- কৃষি ঋণ খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক
- জিয়াউর রহমান খুনি ছিলো
- আগামী ১৮ ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ নেই : ইসি
- প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি
- প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়
- টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ২লাখ ৬০হাজার পিস ইয়াবা ও আইস জব্দ
- ইসি’র সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা রয়েছে : ওবায়দুল কাদের
- বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নিবেদিত প্রাণ
- কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস আজ
- বিএনপির কালোহাত জনগণই ভেঙে দেবে: ওবায়দুল কাদের
- ডিপফেক থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়
- রংপুরে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সড়ক-সেতুর নির্মাণকাজ
- গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে তা ঠিক করবে হামাস: এরদোগান
- দেশের জন্য সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে
- নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন কারা, জানালেন ইসি সচিব
- সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ
- অনলাইনে নির্বাচন ব্যবস্থা সহজ ও পরিশুদ্ধ হবে
- কমলো সরকারিভাবে হজের খরচ
- বিএনপি পারে শুধু ভোট চুরি করতে: প্রধানমন্ত্রী
- চোরাগোপ্তা হামলায় সরকার ফেলা যায় না
- মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ কাজ ৭৩ ভাগ শেষ
- বরিশাল হবে শান্তির নগরী: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
- জনগণকে অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান
- ‘আঞ্চলিক হাবের’ কাজ শুরু
- বাংলাদেশকে ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্টের কিট দেবে চীন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
- ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের চূড়ান্ত সময়সূচি
- সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই দর্পণ: স্পিকার
- ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনে ভাড়া নির্ধারণ
- প্রধানমন্ত্রীর মসজিদে নববী জিয়ারত
- ইইউর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য
- সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে আরও ১০ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা
- বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী
