শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের একাল-সেকাল!
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২
সে সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে গুণীজনদের দাওয়াত করা হতো, যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারের ছিল। অন্তত শিক্ষাবান্ধব লোকজনদের গুরুত্ব পেতো বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠানগুলোতে। সে সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসার ও এলাকার প্রবীণ শিক্ষকদের অতিথি করা হতো। গুণিজনরা বিদায় মঞ্চে অধিষ্টিত হতো। এদের অনেকেই অতীব গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শমূলক কতাবার্তা বলতো। শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে মানবিক অনুপ্রেরণামূলক উপদেশ ও উৎসাহ ব্যঞ্জক কথা বলতো মঞ্চে থাকা গুণিজনেরা। সববেদনা শিক্ষার্থীরা তন্ময় হয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শ্রবণ করতো গুণীদের উপদেশ ও শ্রুতিধর বানী। তখনকার বিদায় অনুষ্ঠান ছিল অনেক কল্যাণকর ও শুদ্ধতম চর্চার পরিবেশ। আর এখন স্বীয় প্রতিষ্ঠানের খোদ শিক্ষকেরাই মঞ্চে ঠাঁই পায় না, মঞ্চে জায়গা করে নেয় যারা শিক্ষার সাথে যায় না। এখানে বসে তারাই যারা নেহায়েত বকলম ও প্রতিপত্তির অধিকারী। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ এদের দাওয়াত করে পরিবেশ পরিস্থিতি খেয়াল করে। এভাবে মঞ্চায়নও এখন রিতীমতো জিম্মিদশা।
তখনকার বিদায় অনুষ্ঠানে বিদায়ের ডাইসে (মঞ্চে) যারা বসতো তারা সবাই গুণিজন ছিল। সে সময় পাড়ার ডাব চোর, মুরগী চোর, খেতাবধারী চাটুকার, আপাদমস্তক বেয়াদবগুলো মঞ্চে বসা তো দূরের কথা অনুষ্ঠানের এলাকায়ও প্রবেশ ছিল লজ্জাবতীর মতোই বিরল। আজকাল সেটা অনেক পাল্টে গেছে। যারা ছাত্র হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারেনি তারাও আজ বিদায়ের মঞ্চে জবরদস্তি অতিথি ও বক্তা! তারা বিদায়ি শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে কি এমন নছিহত রাখবে, কি এমন প্রেরণার কথা বলবে, কি উপদেশবানী প্রসব করবে যারা কিনা অশিক্ষিত। অথচ তারা সুযোগ পেলে শিক্ষাগুরুর ঘাড়মটকানোর কথাও বলবে। এরা বেশীরভাগ রাজনীতির সাঁকোতে ভর করে অপরাজনীতির খেতাবধারী মুষ্টিমেয় কিছু লোক। অবশ্যই বিপরীতে সর্জ্জন, মার্জিত, গুণিজ রাজনীতিবিদরা এ মঞ্চে আসলে সমস্যা থাকার কথা না। তবে সেটা বিলুপ্ত প্রায়।
বিদায় অনুষ্ঠানে বিদায়ি শিক্ষার্থীরা সেদিন এতোটা নিরীহ, এতোটা বিনয়ী ছিল যা সে সময়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়া এখনকার শিক্ষার্থীরা অনুধাবন করতে পারবে না। শুধুমাত্র পাঁচ বছর একসাথে পড়ালেখা করা, সবার সাথে পরিবারের সদস্যদের মতো আবদ্ধ থাকার স্মৃতিগুলো বিদায় মুহূর্তে আজব এক ম্লানময় পরিবেশে রুপ নিতো। পাঁচ বছরে যাঁদের সান্নিধ্যে বড় হয়েছে (শিক্ষাগুরু) তাঁদের কাছে গিয়ে নতশিরে বিনয়ের সাথে কদমবুচি করে দোয়া নিতো সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সে সময়ের মুহুর্তগুলো ছিল স্বর্গীয়। এখন সেটার ভিন্নতা পেয়েছে কালের বিবর্তনে। এখন বিদায় অনুষ্ঠান আর্শ্বীবাদের মঞ্চ আর নেই। বিদায় অনুষ্ঠান এখন একপ্রকার রঙ্গশালা। গান হবে, নাচ হবে, বাজনা বাজবে। ন্যাতপেতে নামে রং মাখামাখি হয় কত অরুচির মহা আয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন শুদ্ধতম চর্চার পরিবেশ অন্ধকারে বিভু নিভি পিদিমের মতো। শিক্ষার সাথে যায় না এমন কিছুই আজ পরিলক্ষিত হয়। এভাবে যাচ্ছে শিক্ষা ও শিক্ষণের পরিবেশ।
এখন বিদায়ের অনুষ্ঠানে সেকেলের (এনালগ) পরিবেশ নেই। বিদায় মানে এখন র্যাগডে (Rag day) নামের অধুনিকতার স্পর্শ! শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোজন-যোজন দূরত্ব। মোবাইল ফোনে দাঁত ভিঞ্চিয়ে সেলফি! হৃদ্যতা, সম্মান, শ্রদ্ধা, স্নেহ এ শব্দগুলোর বালাইমাত্র নেই এখানে। সবখানে অস্বভাবিক পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়, যেমনটি আজকাল শিক্ষাপ্রতিষ্টানের জগাখিচুড়ি পরিবেশ! সে সময়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দেখলে বিনয় অবনত হয়ে দূর থেকে কোন রকম ছাড়! এখন সে পরিবেশটা গড়িয়ে হাই, হ্যালো আর সেলফিতে ব্যতি-ব্যস্ত ও দুরস্ত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিকতার এতোটা অধঃপতন হয়েছে যার কালের স্বাক্ষি সেকালের আর এ-কালের সাঁকোতে পরিমেয়। এখন বিদায় অনুষ্ঠানে শেখ সাদীর কথা, শিক্ষকপ্রীতি হযরত ইমাম আবু হানিফার কথা, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা, শত সহস্র অমর গুণীজনের কথা উঠে আসেনা। এখন কোন রকম মাইক্রোফোন হাতে পেলেই জ্বালাময়ী কিছু স্লোগান, কিছু ধান ভাঙতে শীবেরগীত আর অপাত্রে ঘি ঢালার মতো অনধিকার চর্চা ছাড়া কিছুই নেই!
লেখক-
শিব্বির আহমদ রানা
শিক্ষক ও সংবাদকর্মী
- ঈদুল আজহা: ঢাকার দুই সিটিতে বসছে ২০ পশুর হাট
- বৃষ্টি চেয়ে রাজধানীতে হাজারো মুসল্লির দোয়া
- তাপ কমাতে দৈনিক ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- বগুড়ায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
- লালমোহনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথের উদ্বোধন
- কুমিল্লায় পানিতে ডুবে মারা গেল ৪ শিশু
- টেকনাফে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
- মিতু হত্যা: শেষ হলো ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে
- মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য
- জিআই পণ্যের গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে
- নীলুফা ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- এপ্রিলে পানিতে ডুবে রাজশাহীতে ১৬ জনের মৃত্যু
- হেরোইন বহনের দায়ে ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
- কুয়াকাটায় এক কোরাল সাড়ে ৩২ হাজারে বিক্রি
- পুকুরে ভাসছিল অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
- শরীয়তপুরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে নামাজ আদায়
- চুয়াডাঙ্গায় পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ
- নেত্রকোণায় নাশকতা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- লাশ পরিবহনে ১০ হাজার টাকা করে দিল প্রশাসন
- মেট্রোরেল সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি
- রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবি: ভেসে থাকা ১১ নাবিককে উদ্ধার, নিখোঁজ ১
- বাজিতপুরে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- মৌলভীবাজারে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- ভেন্ডিং মেশিনে পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট, আর নয় টিকিটের লাইন
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- রেলসেতুতে যুক্ত হলো যমুনার দুই পার
- এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে