• মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৫ ১৪৩১

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তার আইন বাতিল আড়িয়াল বিল অবৈধ দখল মুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ টেলিটকের সেবার মান উন্নত করার নির্দেশ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের আসামি পক্ষে আইনজীবী না থাকলে সহায়তা দেবে লিগ্যাল এইড ১১৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ সীমান্ত হত্যা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে বড় বাধা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের ঋণ শোধ করতে হবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সম্মান জানাবে সরকার বিদেশি নাগরিকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় প্রাণি সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

জেলার ৫টি উপজেলা বন্যার কারণে অবকাঠামো ও খাদ্য বিনষ্টসহ খামারি-গৃহস্থদের পশুপাখির মৃত্যু হয়েছে। এতে খামারিসহ গৃহস্থরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ে পড়েছেন।
এতে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ৫ লাখ ১১ হাজার ১১০টি পশু-পাখি বন্যা কবলিত রয়েছে। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্যটি নিশ্চিত করছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বন্যার পানির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে খামার ও গৃহস্থের ১ লাখ ৬০ হাজার ২১৩টি পশুপাখি মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫টি গরু, ১৭৫টি ছাগল, ১৭ টি ভেড়া ও ১টি মহিষ এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০টি মুরগী ও ৯৭৫টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। গবাদিপশুসহ ৩০৩টি খামারের অবকাঠামোগত ক্ষতি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা, হাঁস-মুরগীসহ ৪২৩টি খামারের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এছাড়া ১ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার পশুপাখির খাদ্য বিনষ্ট হয়েছে বন্যায়।
আরও জানানো হয়েছে- ৯০০ গবাদিপশু ও ১২ হাজার ৯০০ হাঁস-মুরগীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৮৪১টি গবাদিপশু এবং ৩০ হাজার ৩৬৫টি হাঁস-মুরগীকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেঘনা উপকূলীয় এ জেলায় প্রথমে ভারি বর্ষণ ও নদীর তীব্র জোয়ারের কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রথম দিকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নি¤œাঞ্চল পানিবন্দি ছিল। গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) থেকে ফেনী-নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরে চাপ দেয়। এতে জেলার ৫টি উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়েছে। এসময় প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র উঠেছে। চারদিকে পানি থই-থই করছে। অনেক এলাকায় রাস্তার উপরে হাটু, কোমর ও বুক সমান পানি রয়েছে। ঘর-বাড়ির ভিতরেও পানি। এতে পানি ও আবহাওয়া জনিত কারণে ১ লাখ ৬০ হাজার ২১৩টি পশু-পাখি মারা যায়।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বাসসকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ "বন্যা/অতিবর্ষণ" এর প্রভাবে কারণে লক্ষ্মীপুর জেলায় ৩০৩ টি গবাদিপশুর ও ৪২৩টি মুরগীর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গবাদিপশু ও মুরগী মারা গিয়ে খামারিদের বড়ধরণের ক্ষতি হয়েছে। এখনো ৫ লাখ ১১ হাজার ১১০ টি পশু-পাখি বন্যা কবলিত রয়েছে। এতে জেলায় ৮ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছেন। ইতিমধ্যে সরকার গোখাদ্যর জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ "বন্যা/অতি বর্ষণ এ-র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন গত ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।