বাঙ্গালি নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনবসতি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙ্গালি নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া ত্রিমোহনী সড়কসহ বিশপখইর, উত্তরপাড়া ও সোনাইডাঙ্গাসহ কয়েকটি গ্রাম। একই সঙ্গে ভাঙনের মুখে পড়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজারসহ পাশর্^বর্তী আরও চারটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি। বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে ভাঙনরোধ করলেও এলাকাবাসী স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের দাবি করেছেন।
উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত করতোয়া ও বাঙ্গালি নদী। করতোয়া নাম নিয়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মধ্যদিয়ে গোবিন্দগঞ্জে প্রবেশ করে। এরপর নদীটি বাঙ্গালি নাম নিয়ে  বগুড়া জেলায় প্রবেশ করে। বর্তমানে বাঙ্গালির ভাঙনে উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের উত্তরপাড়া, বিশপখইর, সোনাইডাঙ্গা, মহিমাগঞ্জের বালুয়া, বোচাদহসহ ১০টি গ্রাম ক্রমেই বিলীন হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব গ্রামের কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারসহ গোবিন্দগঞ্জ-বোনারপাড়া ভায়া ত্রিমোহনী সড়কের বেশ কিছু অংশ ভাঙনের মুখে পড়েছে।

বন্যায় ভাঙনের সময় স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকালেও  সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।  এছাড়াও এই  নদীর ভাঙনে রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নয়াবাজারসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষিজমি, বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এখন হুমকির মুখে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বিশপখইর গ্রামের সামসুল ইসলাম বলেন, নদী এই গ্রাম থেকে অনেকদূরে ছিল। কিন্ত এখন ভাঙতে ভাঙতে অনেক কাছে চলে এসেছে। প্রতিবছরই বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। নবনির্মিত ত্রিমোহনী ব্রিজ ব্যবহার করে গোবিন্দগঞ্জ থেকে বোনারপাড়া যাতায়াতের সহজ সড়কটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ- ভোগান্তি বেড়েছে। উত্তরপাড়ার সোলাইয়মান আলী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তা সংস্কারে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা অলিদ আহসান রিয়ন জানান, নদী ভাঙনরোধে কাজ করছে পাউবো। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন হলে ভাঙন সমস্যা আর থাকবে না।