• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

মেলান্দহে ব্রীজের অভাবে জনজীবনের ভোগান্তি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩  

জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার আগপয়লা ঠেঙ্গেরপাড়া-তেঘরিয়া রাস্তায় কিলাকিলি বিলের খালের উপর রয়েছে একটি সাঁকো। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা সহ দুটি বাজারের কয়েকশ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। বর্ষা এলে নৌকাই একমাত্র ভরসা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতেও গড়ে উঠেনি একটি ব্রীজ। অথচ রাস্তা ছেড়ে ওই খালের অপর পাশে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে গ্রামীন রাস্তার ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও মানছে না প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। মামলা সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার তেঘরিয়া মৌজার মধ্যে বিআরএস ৩৯৭নং খতিয়ানের ৮৫২নং দাগের ৪৭ শতাংশ, বিআরএস ১৬৪নং খতিয়ানের ৮৫৩নং দাগের ৪ শতাংশ এবং ৮৫৪ নং দাগের ২৪ শতাংশ মোট ৭৫ শতাংশ ভূমির মালিক আগপয়লা গ্রামের মৃতঃ গেন্দা মন্ডলের পুত্র মোঃ আঃ খালেক। তাদের সেই আবাদী জমি ধ্বংস করার লক্ষ্যে সেই জমির পাশে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে গ্রামীন রাস্তার ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু/কালভার্ট। অথচ তার পাশেই রয়েছে দুই গ্রামের যাতায়াতের রাস্তা। সেখানেই দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রামবাসীরা একটি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। গ্রামবাসীর কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র নিজেদের পকেট ভারী করার লক্ষ্যে মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক স্থানীয় ঠিকাদার শহিদুর রহমানের মাধ্যমে ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণের কাজ করছেন। এ নিয়ে আব্দুল খালেক বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, মেলান্দহ, জামালপুর, মোকদ্দমা নং- ১১৮/২০২২ ও বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, মেলান্দহ, জামালপুর, মোকদ্দমা নং- ০৭/২০২৩ সন (ঠরড়ষধঃরড়হ) মূল মোকদ্দমা নং- ১১৮/২০২২ অন্য দায়ের করলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে তাদের কাজ চলমান রেখেছে। এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা বলেন, মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। ব্রীজ নির্মাণের কথাটি জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলেন, আমাদের দুইটি গ্রামের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করে। বর্ষাকালে সাঁকোই আমাদের একমাত্র সম্বল। শিশু শিক্ষার্থীরা অনেক সময় এই সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যায়। যার কারনে অভিভাবক সহ এলাকার মানুষের মধ্যে রয়েছে একটি আতঙ্ক। তাই জরুরী ভিত্তিতে সাঁকোটির স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য আমরা উপজেলা কর্মকর্তাসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল খালেক বলেন, সাঁকো যেখানে রয়েছে সেখানে সরকারের রাস্তাও রয়েছে। অথচ যেখানে ব্রীজ নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে সেখানে আমাদের নিজেদের সম্পদ। আমরা চাষাবাদ করে খাই। এই ব্রীজটির কারনে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হবে। আমার জমি অধিগ্রহণও করা হয়নি। তাছাড়া আদালত নির্দেশনা দিলেও পিআইও এবং স্থানীয় ঠিকাদার সেই নির্দেশনা মানছেন না। আদালতের নির্দেশনা মেনে সাঁকোর স্থানে ব্রীজটি নির্মাণ করার দাবী জানাচ্ছি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল