দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ইউপির হারুয়াবাড়ি ব্রীজটি পুন:নির্মাণের দাবি

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সেই ভাঙ্গা ব্রীজটির পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। হারুয়াবাড়ী টু বাগানবাড়ী রাস্তার মাঝে, হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ভাঙ্গা জায়গায় অবস্থিত। যা বর্তমানে অবহেলিত রয়েছে।
জানা যায়, ব্রীজটি পাওয়ার আশা আকাঙ্খায়, জনসাধারণ দিনের পর দিন প্রহর গুনছিলো। প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর মানুষের চাওয়া পাওয়া, আনাগোনার মধ্যে দিয়েই কেটে গেলো। বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদ জনগনের কল্যানে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বাজেটপ্রাপ্ত হয়। ২০১৩ সালে ঠিকাদার মোমিনুল ইসলাম (লাল মিয়া মুহুরী) এর দায়িত্বে ব্রীজটি সম্পন্ন করা হয়। ২০১৩ সালে ব্রীজটি সম্পন্ন করা হলে, উদ্বোধন করার দু’দিন আগেই ব্রীজটি ভেঙে যায়। যার কারনে ১৫টি গ্রামের প্রায় ১০/১২ হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, ব্রীজ নির্মাণের আগে আবাদী জমি ছিল। সেখানে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রীজ ভেঙ্গে পানির স্রোতের সেখানে বড় আকারে গর্তের সৃষ্টি হয় এবং আশেপাশের ২০/৩০ বিঘা জমিতে পরে শুধু বালু আর বালু। মানুষ তো পারাপার হতেই পারে না, জনসাধারণের দূর্ভোগের আর শেষ নেই। ডাংধরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, ব্রীজটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় জনগণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজটি পু:নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই ভাঙ্গা ব্রীজের আশেপাশে রয়েছে ৮ থেকে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একাধিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা, নূরানী মাদ্রসা, মহিলা মাদ্রাসা, কওমী মাদ্রাসা সহ অনেকগুলি জামে মসজিদ। এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও মুসুল্লিদের চলাচলের অবস্থা খুবই কঠিন। এছাড়াও জনসাধারণের কষ্টের শেষ নেই। ব্রীজটি পুণঃনির্মাণের কোন ব্যবস্থা হয়নি এখন পর্যন্ত। ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।