• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

উল্লাপাড়ায় অপরিকল্পিত মুরগির খামার,বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২২  

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নলসোন্দা গ্রামে জনবসতির মধ্যে অপরিকল্পিত ভাবে মুরগির খামার স্থাপনে বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, খামার নির্মাণের নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সলপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বার বার মৌখিক অভিযোগ দিলেও কাজে আসেনি গ্রামবাসীর।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাত/আট বছর ধরে উপজেলার সলপ ইউনিয়নের নলসোন্দা গ্রামে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মহিউদ্দিন নামের এক প্রভাবশালী জোরপূর্বক অপরিকল্পিত ভাবে মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে তার দু'টি খামারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুরগি রয়েছে। অপরিকল্পিত খামারের মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকায় মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না বলে সরকারের নির্দেশ রয়েছে।

শনিবার দুপুর সলপের নলসোন্দা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়িতে খামারের তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন খামার এলাকার বাসিন্দারা। খামারি প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলতে ভয় পায় বসতিরা। তাদের ব্যাপক আধিপত্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশেপাশের লোকজন। খামারি মহিউদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় রয়েছে ভোট ডাকাতি সহ একাধিক নাশকতার মামলা। তার হুমকি ধুমকিতে ভয়ে মুখ খুলতে পারে না নিরহ এলাকাবাসী।

গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ রুমা বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খামারের দুর্গন্ধে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা।

কলেজ ছাত্রী নার্গিছ বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানোর জন্য গত কয়ক বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বার বার মৌখিক অভিযোগ দিয়ে আসছেন গ্রামবাসী। কিন্তু পাননি কোন সু-ব্যবস্থা।

গৃহবধু রেনুকা জানান, খামারের দুর্গন্ধে ডায়রিয়া ও কলেরার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত তারা।

খামারি মহিউদ্দিন বলেন, এলাকাবাসির অভিযোগের কারণে খামারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে যাতে দুর্গন্ধ কম ছড়ায়। এবার মুরগী ডিম পাড়া শেষ হলে বন্ধ করা হবে খামারটি।

সলপ ইউপির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান বলেন, খামারটির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোর্শেদ জানান, আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা না থাকলে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া খামার স্থাপন হলে অভিযোগ পেলে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল