• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আমলনামা দেখে মনোনয়ন দেওয়া হবে, দলীয় এমপিদের শেখ হাসিনা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩  

এমপিদের আমলনামা দেখেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘জনগণের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান তারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’


গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ার করে এ কথা বলেন তিনি। দলটির একাধিক সংসদ সদস্য আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে সরকারি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে এই সভা। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় নির্বাচন, বিরোধী দলের আন্দোলনসহ সাম্প্রতিক নানান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। সভায় বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যও বক্তব্য রাখেন।

সূত্র জানায় বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জরিপ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁর কাছে জরিপ রিপোর্ট রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যারা ভালো কাজ করেছেন। যারা জনগণের কাছে যায়। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন। ভোট চান। জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং জনগণ যাদেরকে চায় তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক নেই, এলাকায় যান না তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে সেটাও জানান এমপিদের শেখ হাসিনা। 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের এলাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। বিরোধী দলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে বলেছেন। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। তবে আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মত সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে কঠোরহস্তে দমন করা হবে।

সূত্র জানায় বৈঠকে দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে জেলা সফরের জন্য অনুরোধ করেন। জেলা সফরে গেলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো কেটে যাবে। তিনি সরাসরি নির্দেশনা দিতে পারবেন। এতে নেতা-কর্মীরা ‍উৎফুল্ল হবেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘তিনি সফর শুরু করেছেন। আগামীতেও যতদূর সম্ভব সেটা অব্যাহত রাখবেন। আর যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে অবশ্যই যাবেন।’ 

বৈঠকে সরকারি দলের এমপিদের মধ্যে শাহজাহান খান, আবুল কালাম আজাদ, আ স ম ফিরোজ, সাদেক খান, আতিউর রহমান আতিক, মেহের আফরোজ চুমকি, মেরিনা জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে একাধিক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উন্নয়নকাজের অসমবন্টনের অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, ‘মন্ত্রীরা অন্য এলাকার দিকে না দেখে কেবল নিজের এলাকার দিকে গুরুত্ব দেন। মন্ত্রণালয়ের কাজ যেন সব এলাকায় সমানভাবে হয়। মন্ত্রীরা যেন স্বজনপ্রীতি করে নিজের এলাকার ওপর বেশি গুরুত্ব না দেন।’ 

এ ছাড়া কয়েকজন এমপি নতুন করে বড় কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করার পক্ষে অভিমত দিয়ে চলমান প্রকল্পগুলো নির্বাচনের আগে শেষ করার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি ভাঙাচোরা সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ করেন। এমপিরা জানান, প্রধানমন্ত্রী এমপিদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছেন। আবার কিছু বিষয়ে তিনি নোট নিয়েছেন। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল