• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার অস্ট্রেড কমিশনার মনিকা কেনেডিকে ইউসিবি বাংলাদেশের অভ্যর্থনা ইসলামপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: শেখ হাসিনা যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব সন্দেহজনক: প্রধানমন্ত্রী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২১  

অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাজা হওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ভবিষ্যতে দলটির অস্তিত্ব টিকে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, অস্ত্র চোরাচালান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল টিকে থাকবে কীভাবে?


 
সোমবার কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্যে (ইউকে) বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি জনগণের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন তোলেন। লন্ডনে তার বাসস্থান থেকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব অস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির পাশাপাশি হত্যা মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত। কেবলমাত্র আমাদেরই (সরকার) না, খালেদা জিয়ার ছেলেদের এই দুর্নীতির চিত্র আমেরিকার এফবিআই’র করা তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা (সরকার) বিদেশ থেকে তাদের পাচারকৃত কিছু অর্থ দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের) কোনো দেশপ্রেম ছিল না, বরং তাদের চিন্তা ছিল ক্ষমতা ভোগ এবং লুটপাট করা। এ সময় তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের বিলাসবহুল জীবনযাপন ও আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন চালুর মাধ্যমে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম এবং লুটেপুটে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। ঐ সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়।

তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে জনগণ সামনের দিকে অগ্রসর হতে চায়, আমি কখনো জনগণকে পেছনের দিকে যেতে দেখিনি। কিন্তু তারা সেটাই করেছে।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে নিমজ্জিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের জনগণ সরকারের সেবা পেতে শুরু করে। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় দেশের ভাগ্যের চাকা সামনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ সর্বদা দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং জনগণের কল্যাণের চিন্তা করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে না, আজকের বাংলাদেশ তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে আসে এবং আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি।

পদ্মাসেতুর ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, একটি কুচক্রীমহল এ সরকারকে বিশেষকরে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিল। এ ব্যাপারে আমি বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও তারা তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পদ্মাসেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি।

আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে ক্ষমতায় এসেছি। এটিই আমাদের লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সারাদেশে এসব অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। আপনারা (প্রবাসীরা) বিনিয়োগ করতে চাইলে, বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আমরা তা করবো।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে সে ব্যাপারে তাকে অবহিত করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা যেন অন্য দেশেও বিনিয়োগ করতে পারে সরকার সেটিরও পথ সুগম করবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমার পিতা পাকিস্তানিদের কাছ থেকে এই দেশ স্বাধীন করেছেন এবং আমি জানি কীভাবে বাংলাদেশের উন্নতি করতে হয়।

৭ নভেম্বরের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৭৫ সালের পর ১৯ বার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। প্রতিটি অভ্যুত্থানের সময়ে জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাজার হাজার কর্মকর্তা ও সৈন্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর হচ্ছে সৈনিক হত্যা দিবস।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল