• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

চার ধর্ষণকারীকে মামলা রুজুর চার ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৩  

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলবদ্ধ ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর চার ঘণ্টার মধ্যে সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে মধুপুর উপজেলার বাঘাডোবা গ্রামের মোঃ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ সজিব (২৮) ও কালিয়াকুড়ি (কামারতফাল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (৩৮), পিতা-মোহাম্মদ আলী দ্বয় তাদের চাচাত ভাই নাজমুলের প্রেমিকা ভিকটিম সালমা (১৬)(ছদ্ম নাম) কে নাজমুলের কাছে পৌছে দেয়ার কথা বলে, জামালপুর জেলার সদর থানাধীন রশীদপুর চৌরাস্তা থেকে প্রতারণা পূর্বক অপহরণ করে মধুপুর থানাধীন চাঁদপুর রাবার বাগানের ভিতরে কালাপাহাড় নামকস্থানে গহীন অরণ্যে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে রশিদপুর চৌরাস্তায় ছেড়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।


একই দিন ঐ ভিকটিম অটোযোগে জামালপুর থানাধীন দিকপাইত যাওয়ার সময় অটো স্ট্যান্ডের লাইনম্যান (মাষ্টার) রশিদপুর ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আঃ সামাদের ছেলে মো: মামুন (২৬) ভীকটিম কে সহায়তা করার নামে রাত্রী অনুমানিক সাড়ে আটটা/ নয়টার দিকে জামালপুর সদর থানাধীন রশিদপুর সর্দার বাড়ী গ্রামের খালপাড়ে ধানক্ষেতের বড় আইলে নিয়া গিয়ে মামুনের পরিচিত রশিদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ হাফিজুল ইসলাম (৩০)সহ অত্র মামলার ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে, পূনরায় রশিদপুর চৌরাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের প্রেমিক তাকে খুজতে এসে রশিদপুর চৌরাস্তায় সামান্য অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট স্মরণাপন্ন হন, পরবর্তীতে চেয়ারম্যান বিষয়টি মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বিপিএমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে প্রেরণ করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেন এবং ভিকটিম থানায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করিলে অফিসার ইনচার্জ,মধুপুর থানা, মামলা রুজু করেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ মুরাদ হোসেন, মধুপুর থানা, টাঙ্গাইল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আসামীদের মামলা রুজুর ৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতার পর গতকাল শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।

আসামি সজিব আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ভিকটিম সালমা কে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাংগাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল