• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

শাড়ির দোকানে ভিড় চাহিদা টাঙ্গাইল প্রিন্ট, সুতির

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩  

দেশের যে কোনো উৎসব উদ্যাপনে নারীদের প্রধান আকর্ষণ থাকে নতুন ডিজাইনের শাড়ির প্রতি। ভারতীয় উপমহাদেশে শাড়ির গ্রহণযোগ্যতার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। তাই তো ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর শাড়ির দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েই চলছে। বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ রোজার পর থেকে ঈদকেন্দ্রিক বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে নারীরা এখন শাড়ি বেশি কিনছেন। শাড়ির মধ্যে সুতি, টাঙ্গাইলের প্রিন্টের শাড়ির চাহিদা বেশি। আর বেশি বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকার শাড়ি।

তবে এসব মাঝারি মানের শাড়ির দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২-৩শ’ টাকা। এছাড়াও দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে কাতান, সিল্ক, হাফসিল্ক, মসলিন, তাঁত, জামদানি, বেনারসি, শিফন এবং পার্টি শাড়ি। রাজধানীর নিউমার্কেট, মগবাজার, মৌচাক মালিবাগ, রামপুরা, ধানম-ি, বেইলি রোড এলাকার ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।


বেইলি রোডে গেলেই চোখে পড়বে টাঙ্গাইল তাঁতঘর। এখানে সুতি কাপড়ের শাড়ি পাওয়া যায় ১ হাজার থেকে ৩/৪ হাজার টাকার মধ্যে। আর সিল্কের শাড়ির দাম পড়বে ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাশেই রয়েছে পলক শাড়ি ঘর। এখানে দিনে এখন ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হয়, বলছেন বিক্রেতা। নিজের ব্যবহারের পাশাপাশি উপহারের জন্যও শাড়ি কিনছেন ক্রেতারা।


ধানম-ি আড়ংয়ের মোড়ে রয়েছে আয়েশা শাড়ি বাজার। এখানে মিরপুর ও টাঙ্গাইলের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এ বাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তাদের সাথে কথা বলারও সুযোগ মিলছে না। আরেকটু সামনে গেলেই চোখে পড়ে সানরাজই প্লাজা। এখানে বিভিন্ন পোশাকের পাশাপাশি শাড়ির কালেকশনই বেশি। বি প্লাস নামে একটি শোরুমে মানুষের উপস্থিতি ভালোই দেখা গেছে। ব্যস্ততার মধ্যেই এক ফাঁকে কথা হয় ম্যানেজারের সঙ্গে। বিক্রি ভালো জানালেন তিনি। ১১শ’ থেকে ২৪শ’ টাকার মধ্যে শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে এ দোকানে।


একই মার্কেটে ভারতীয় তাঁত ও সিল্কের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে তাঁতঘর নামের একটি দোকানে। ৩ থেকে ১৫-২০ হাজার টাকার শাড়িও আছে এ দোকানে। তবে ৩-৫ হাজার টাকা দামের শাড়িই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতা। দোকানে মানুষ বেশি থাকায় বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ হয়নি।


পাশেই রয়েছে রাপা প্লাজা। দীর্ঘদির ধরেই এ মার্কেটের নাম রয়েছে ধানম-ি এলাকায়। রঙিন বাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে মার্কেটটি। জ্যোতি ফ্যাশনে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে ভালই। বিক্রয়কর্মীরা সবাই ব্যস্ত। একই অবস্থা পাশের নীল আচল শাড়িজ নামের আরেকটি দোকানের। ভিড় বেশি থাকায় বিক্রয়কর্মীদের মধ্যে কথা বলার সুযোগই নাই।

মৌচাকের ফরচুন শপিং সেন্টারেও ভিড় বেড়েছে। লেডিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবসায়ী খোকন দেবনাথ জানান, এখনই মেয়েদের থ্রিপিস বিক্রির সময়। কারণ ২৫ রোজার পর টেইলার্সে আর সিরিয়াল পাওয়া যাবে না। দামও এবার বেশি। ১৫শ’ টাকার কাপড় ১৭শ’ থেকে ২ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। আর ক্যাটলগের কাপড় কিনতে হয়েছে গড়ে একহাজার টাকা বেশি দিয়ে, জানান এ ব্যবসায়ী।

ফরচুন শপিংমলের সঞ্চিতার মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, এ বছর সুতার দাম বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় নি¤œমানের শাড়ির দাম বেড়েছে ১-২শ’ টাকা। মাঝারিমানের শাড়ি দাম বেড়েছে ৩-৪শ’ টাকা। তিনি বলেন, দামি শাড়িতে দাম আরও বেশি বেড়েছে। শাড়ির দাম বাড়ায় এবার বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে।

একই সুরে কথা বললেন তার পাশের মদিনা শাড়ির দোকানি সাকিব। তিনি জানান, প্রতিবছর ১৫ রোজা পর্যন্ত কম দামি শাড়ি যেমন সুতি শাড়ি, টাঙ্গাইলের শাড়ি, বিভিন্ন প্রিন্টের শাড়ি বিক্রি হয়। আর ১৫ রোজার পর থেকে বিক্রি হয় সিল্ক, হালকা সিল্ক, কাতান, নকশি শাড়ি। আর শেষ সময়ে নিজের পড়ার জন্য কেনেন পার্টি ও জামদানি শাড়ি। তবে এবার কম দামি শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে এবার কাপড়ের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। মৌচাক মার্কেটে আসা ক্রেতা ফারিয়া হোসেন বলেন, এবার শাড়ির দাম অনেক বেশি। তারপরও ঈদের কারণে কিনতে হচ্ছে। ঈদ তো বছরে একবার আসে, তাই কিনতে হয়।

তিনি বলেন, আমি এসেছি জামদানি শাড়ি কিনতে। কিন্তু এখানে যেসব শাড়ি দেখাচ্ছে একটিও আসল জামদানি শাড়ি না। ফারিয়া বলেন, গত বছর ১০টি শাড়ি কিনেছি। এবার আমার মেয়ে, ছেলের বউ আর আমার জন্য মোট পাঁচটি শাড়ি কিনেছি। আর কিনব না।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল