• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২  

শুকনো মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের ফসলি জমির বালুমাটি অবৈধ কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ঘরবাড়ি, বসতভিটা, মসজিদ-মন্দির ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যায়। এই অবৈধ বালুঘাট নিয়ে ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিবার সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এতে করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ঘাট বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু অভিযানের বিষয়টি আগেই টের পেয়ে বালুখেকোরা পালিয়ে যায়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুঘাট বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে মাঝে মধ্যে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের পাওয়া গেলেও মূল বালুখেকোরা থাকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।


এছাড়াও অভিযানের সংবাদ আগে পেয়েই বালুঘাটে নিয়োজিত শ্রমিকরাও পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পরেই শুরু হয় বালুখেকোদের মাটি-বালু কাটার কর্মযজ্ঞ বা মহোৎসব। সংবাদ প্রকাশের পর গত এক সপ্তাহে উপজেলার গোবিন্দাসীর খানুরবাড়ী, নিকরাইল ও অর্জুনার জগৎপুরা এলাকার বিভিন্ন অবৈধ বালুঘাটে ৪টির মতো অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে ফের শুরু হয় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বালুখেকোরা বেপরোয়া। তারা দিন-রাত অবৈধভাবে যমুনা চরাঞ্চলের ফসলি বালু কেটে উত্তোলন ও ট্রাকযোগে বিক্রি করে আসছে। এনিয়ে প্রশাসন অবৈধ বালুঘাট বন্ধে অভিযান করছে। কিন্তু অবৈধ বালুঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার আগেই ট্রাক-ভেকু ড্রাইভার, হেলপার ও বালুঘাটের কাজে নিয়োজিত থাকা শ্রমিকরা উধাও হয়ে যায়। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালত কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেন জানান, যমুনা নদী থেকে শুকনো মৌসমে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী চরাঞ্চলের ফসলি জমির বালুমাটি কেটে বিক্রি করার কারণে ঘরবাড়ি, বসতভিটাসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যায়। এনিয়ে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পেয়ে ওইসব অবৈধ বালুঘাটে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। জনস্বার্থে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল