• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ঘুরে আসুন টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদারবাড়ি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২২  

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।  ভ্রমণপিপাসুরা ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়েন ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে। ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানাধীন মহেরা ইউনিয়নের মহেরা গ্রামে অবস্থিত মহেরা জমিদারবাড়ি, যেখানে নীলাকাশ, ছোট করে ছেঁটে রাখা সবুজ ঘাসের কার্পেট, শতাধিক বর্ষের সহস্রাধিক স্মৃতিবিজড়িত সুরম্য ভবনগুলো সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে দর্শনার্থীর মনোরঞ্জনের অপেক্ষায় থাকে, যা জমিদারবাড়ির পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
মহেরা জমিদারবাড়িতে রয়েছে-

চৌধুরী লজ
এর মূল ফটক দিয়ে জমিদারবাড়ি প্রবেশের পরেই চৌধুরী লজ দেখা যায়। গোলাপি রঙের ভবনটির পিলারগুলো স্থাপত্যশৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। সুন্দর নকশাখচিত ভবনের ভেতরে রয়েছে ঢেউ খেলানো ছাদ। দোতলা এই ভবনের সামনে রয়েছে সুন্দর বাগান ও সবুজ মাঠ।

মহারাজ লজ
বাইজেনটাইন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মহারাজ লজ ভবনের সামনে ছয়টি কলাম আছে। গোলাপি রঙের মহারাজ লজের সামনের সিঁড়ির বাঁকানো রেলিংটি ও ঝুলন্ত বারান্দা ভবনের শোভা বৃদ্ধি করেছে। ভবনটিতে মোট কক্ষ আছে ১২টি। সামনে বাগান ও পেছনে একটি টেনিস কোর্ট রয়েছে। এই ভবনটি শুটিংপট হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আনন্দ লজ
মহেরা জমিদারবাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবন হচ্ছে আনন্দ লজ। নীল ও সাদা রঙের ভবনটির সামনে আটটি সুদৃশ্য কলাম রয়েছে। তিন তলায় অবস্থিত ঝুলন্ত বারান্দা এ ভবনকে করেছে আরও দৃষ্টিনন্দন। আনন্দ লজের সামনে হরিণ, বাঘ ও পশুপাখির মূর্তিসহ একটি চমৎকার বাগান আছে।

কালীচরণ লজ
জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির শেষের দিকে নির্মিত কালীচরণ লজ। এটি অন্য ভবন থেকে অনেক আলাদা। ইংরেজি ‘ইউ’ অক্ষরের আদলে এই ভবনটি ইংরেজ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। বিকালে এই ভবনের ভেতর থেকে সুন্দর আলোর ঝলকানি দেখা যায়।

যেভাবে যাবেন
 টাঙ্গাইলে নাটিয়াপাড়া  থেকে সিএনজি, অটোরিকশা, টেম্পো অথবা রিকশায় করে মহেরাপাড়া পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। এ ছাড়া আপনি ব্যক্তিগত গাড়িতেও যেতে পারেন। ২০ টাকার টিকেট কেটেই আপনি পুরো জমিদারবাড়ি ঘুরতে পারবেন।

যা খাবেন
জমিদারবাড়ির মধ্যেই একটি ক্যান্টিন আছে। ইচ্ছা করলেই সেখানেই খাওয়াদাওয়া করতে পারেন। এ ছাড়া ভেতরে পুকুরের পাশে পিকনিক স্পটে রয়েছে দুটি ক্যান্টিন। এখানে খাবারের দামও খুব বেশি নয়। মাত্র ১০০ টাকার মধ্যে ভাত, ডাল ও মুরগির প্যাকেজ পেয়ে যাবেন।

যেখানে থাকবেন
চাইলে আপনি সেখানে থেকে যেতে পারেন। টাঙ্গাইল সদরে থাকার মতো  অনেক আবাসিক হোটেল আছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল