• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

শিহাব হত্যা মামলায় চার আসামির আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২  

টাঙ্গাইলে বহুল আলোচিত সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ছাত্র শিহাব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামিকে জেল হাসতে প্রেরন করেছে আদালত। ১০ আগস্ট বুধবার আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাসতে প্রেরন করেন।

এ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো: রাসেল রানা জানান, চাঞ্চল্যকর শিহাব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামী বুধবার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করে। পরে আসামী পক্ষের আইনজীবী তাদের জামিন প্রার্থনা করেন। এসময় বিজ্ঞ বিচারক বাদী ও আসামী পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি তর্ক শোনার পর আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করেন। পরে চারজন আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। আত্মসমর্পনকারী আসামিরা হলেন- শিহাব হত্যা মামলার ২ নং আসামি বিপ্লব (৩০), ৩ নং আসামি আশরাফ (৩০), ৪ নং আসামি মাসুম (৪০) ও ৬ নং আসামি বিজন (৪০)।

আত্মসর্মপণের আগে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি বিজন বলেন, আমরা এতোদিন নিয়মিত স্কুলে গিয়েছি, ক্লাস নিয়েছি। পরে গত ১ আগস্ট উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেই। বুধবার টাঙ্গাইলে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছি।

নিহত শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুলিশ সৃষ্টির মালিক রিপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আর কোন আসামি গ্রেপ্তার করে নাই। আল্লাহর ইশারায় আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শরিফুল ইসলাম রিপন।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন সোমবার শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনের সাত তলা থেকে শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। শুরু থেকেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার। এঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ২৬ জুন রবিবার বিকেলে র‌্যাব সাতজন শিক্ষক ও পুলিশ দুইজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে র‌্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাদের সাতজনকে ছেড়ে দেয়। পরে ২৭ জুন সোমবার নিহত শিহাবের মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন- সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক শিক্ষক আবু বক্কর, বিপ্লব, আশরাফ, মাসুদ, মতিন ও বিজন। পুলিশ মামলার আগে শিক্ষক নাসির ও আবু বক্করকে আটক করলেও মামলায় নাসিরের নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল