• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

টাঙ্গাইলে চাহিদার চেয়ে প্রায় ৭ হাজার কোরবানির পশু বেশি রয়েছে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২২  

টাঙ্গাইলে চাহিদার চেয়ে ৬ হাজার ৮৬টি কোরবানির পশু বেশি রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে পাওয়া ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮১ হাজার ৫টি।

প্রস্তুত রয়েছে ৮৭ হাজার ৯১টি। এরমধ্যে ষাঁড় ৪৪ হাজার ৮২৭টি, বলদ ৬ হাজার ৭টি, গাভি ৮ হাজার ২৪৭টি, মহিষ ২৩৩টি, ছাগল ২৪ হাজার ১৮২টি, ভেড়া ৩ হাজার ৫৬৪টিসহ অন্যান্য ৩২টি। টানা বেশ কয়েক বছর ধরেই এ জেলা কোরবানির পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।


 
জানা যায়, গত ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭টি, প্রস্তুত ছিল ৮০ হাজার ২০০টি। চলতি বছরের চাহিদা ৮১ হাজার ৫টি। প্রস্তুত আছে ৮৭ হাজার ৯১টি। এর আগে ২০২০ সালের চাহিদা ৭৩ হাজার ৫৪৭টি। প্রস্তুত ছিল ৯০ হাজার ৫২২টি।


 
২০১৯ সালের ঈদুল আজহায় জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৪৭ হাজার ৫২টি, প্রস্তুত ছিল ৪৭ হাজার ৫৩টি। এবার ঈদুল আজহায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৭ হাজার ৫৭০টি থাকলেও প্রস্তুত আছে ৮ হাজার ৫৫৩টি। এ উপজেলায় বাড়তি কোরবানির পশুর সংখ্যা ৯৮৩টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ৫৩৭টি ষাঁড়, ৭১০টি বলদ, ৬৫৯টি গাভি, ২৫টি মহিষ, ১ হাজার ৬৭৮টি ছাগল ও ৯৩৩টি ভেড়াসহ অন্যান্য ১১টি।


 
বাসাইল উপজেলায় চাহিদা ১ হাজার ৫২০টি আর প্রস্তুত ১ হাজার ৯২৫টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৪০৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ১ হাজার ৩২৯টি ষাঁড়, ১১টি বলদ, ৩৭০টি গাভি, ১৮০টি ছাগল ও ৩৫টি ভেড়া। দেলদুয়ার উপজেলায় চাহিদা ৫ হাজার ৩৩৬টি আর প্রস্তুত ৫ হাজার ৪০৬টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৭০টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ৪৮৩টি ষাঁড়, ২২টি গাভি, ১২টি মহিষ, ৭৬৪টি ছাগল ও ১২৫টি ভেড়া। সখীপুর উপজেলায় চাহিদা ৯ হাজার ৯১৭টি আর প্রস্তুত ১০ হাজার ২টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৮৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৪টি ষাঁড়, ৪২৪টি বলদ, ১ হাজার ২৮১টি গাভি, ৬৯টি মহিষ, ৩ হাজার ১২২টি ছাগল ও ২৪১টি ভেড়াসহ অন্যান্য ২১টি। ঘাটাইল উপজেলায় চাহিদা ৪ হাজার ৭২২টি আর প্রস্তুত ৪ হাজার ৯২২টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ২০০টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৩ হাজার ৫০টি ষাঁড়, ২০৫টি বলদ, ৪৪০টি গাভি, ২২টি মহিষ, ১ হাজার ১২৫টি ছাগল ও ৮০টি ভেড়া। গোপালপুর উপজেলায় চাহিদা ১০ হাজার ২০০টি আর প্রস্তুত ১৩ হাজার ৬৯৯টি। এ পজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৯টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ২৩৭টি ষাঁড়, ১ হাজার ২২০টি বলদ, ১ হাজার ৩৪০টি গাভি, ২টি মহিষ, ৬ হাজার ২০০টি ছাগল ও ৭০০টি ভেড়া।


 
ভূঞাপুর উপজেলায় চাহিদা ১১ হাজার ২০০টি আর প্রস্তুত ১২ হাজার ৪৬৮টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ১ হাজার ২৬৮টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৬ হাজার ৭৫০টি ষাঁড়, ১ হাজার ২৫০টি বলদ, ১ হাজার ৩৬০টি গাভি, ৮টি মহিষ, ২ হাজার ৭৫০টি ছাগল ও ৩৫০টি ভেড়া।

ধনবাড়ী উপজেলায় চাহিদা ৬ হাজার ৬২০টি আর প্রস্তুত ৬ হাজার ৯৮৯টি। এ উপজেলায় বাড়তি পশুর সংখ্যা ৩৬৯টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৩ হাজার ৩৪০ টি ষাঁড়, ২৩৩টি বলদ, ৯১১টি গাভি, ২৫টি মহিষ, ২ হাজার ১৪৩টি ছাগল ও ৩৭৩টি ভেড়া।

মির্জাপুর উপজেলায় চাহিদা ৪ হাজার ৮৫টি আর প্রস্তুত ৪ হাজার ৮৫টি। এ উপজেলায় চাহিদা আর প্রস্তুত পশুর সংখ্যা সমান। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৩টি ষাঁড়, ২৪৭টি বলদ, ১৬৯টি গাভি, ৩৭টি মহিষ, ৮৩৬টি ছাগল ও ১৫৩টি ভেড়া। কালিহাতী উপজেলায় চাহিদা ৮ হাজার ১৩৫টি আর প্রস্তুত ৮ হাজার ১৩৫টি। এ উপজেলায় চাহিদা আর প্রস্তুত পশুর সংখ্যা সমান। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ৪ হাজার ২৭৯টি ষাঁড়, ৮২৭টি বলদ, ৪২৫টি গাভি, ২ হাজার ২৭৯টি ছাগল ও ৩২৫টি ভেড়া।

নাগরপুর উপজেলায় চাহিদা ৬ হাজার ১০০টি আর প্রস্তুত ৫ হাজার ৭২৫টি। এ উপজেলায় ঘাটতি পশুর সংখ্যা ৩৭৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ২ হাজার ৪৫০টি ষাঁড়, ৬০০টি বলদ, ৫৫০টি গাভি, ১ হাজার ৯৫০টি ছাগল ও ১৭৫টি ভেড়া। মধুপুর উপজেলায় চাহিদা ৫ হাজার ৬০০টি আর প্রস্তুত ৫ হাজার ১৮৩টি। এ উপজেলায় ঘাটতি পশুর সংখ্যা ৪১৭টি। প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে ২ হাজার ৮৮৫টি ষাঁড়, ২৮০টি বলদ, ৭২০টি গাভি, ৩৩টি মহিষ, ১ হাজার ১৫৫টি ছাগল ও ১১০টি ভেড়া। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় কোরবানির চাহিদার চেয়ে ৬ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত আছে। খামারি আর গৃহস্থদের লালন-পালনকৃত কোরবানির পশুর প্রাথমিক তালিকায় এ সংখ্যা নির্ধারণ হলেও মাঠ পর্যায়ের হিসেবে পশুর সংখ্যা আরও বাড়বে। ঈদুল আজহার প্রতিটি কোরবানির পশুহাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল