• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

তরমুজ চাষে সফলতা লাভ সখীপুরের দুই কৃষি উদ্যোক্তার

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২২  

টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলায় তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন একই গ্রামের দুই কৃষক । রোগ-বালাই কম হওয়ায় ও স্বল্প খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন তারা। রমজান উপলক্ষে বর্তমানে বাজারে তরমুজের বেশ চাহিদা রয়েছে। এ তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সু-স্বাধু। তরমুজ চাষে তাদের এমন সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষদের মাঝে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলে তরমুজ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিভাগ।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামে বোয়ালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এস এম শফিকুল ইসলাম তার ১ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ আবাদ করেন । অল্প খরচে মাত্র ৭০ দিনে তার জমিতে ফলন আসতে শুরু করে। ইতোমধ্যে একেক টি তরমুজের ওজন ৪ থেকে ৬ কেজি হয়ে উঠেছে। পাকতেও শুরু করেছে।
 
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এক সময় তিনি ওই জমিতে ধান চাষ করলেও এ বছর তিনি ওই জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। এ এলাকায় তরমুজের আবাদ নতুন হওয়ায় প্রথমে তিনি ভয়ই পেয়েছিলেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং বাজারে তরমুজের বাজার মূল্য ভালো থাকায় তার সে ভয় কেটে গেছে। মাত্র ৮০ দিনের মাথায় সফলতা পান তিনি। তার বাগানের প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। ওই জমি থেকে তিনি এ বছর প্রায় ১ লাখ ৬০ হজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
 
এদিকে একই গ্রামের কৃষক মানিক আল মামুনও তরমুজ চাষে সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি জানান, এবার আমি মালচিং পদ্ধতিতে দুই বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করি। আমার জমিতে চার জাতের তরমুজ রয়েছে। ইতোমধ্যে আট শতাধিক গাছে তরমুজ ধরেছে। তরমুজ বিক্রিও শুরু করেছি। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা জমি থেকেই পছন্দ মতো তরমুজ কিনে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন। আশা করছি খরচের তুলনায় দ্বীগুন লাভবান হবো। ইতোমধ্যে আমার এই তরমুজ চাষ দেখে অনেক কৃষক পরামর্শ নিতে আসছে। আমি তাদের মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের সুবিধা সম্পর্কে জানিয়েছে। আগামীতে তিনি আরো ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষ করবেন বলে জানান।
 
স্থানীয় কৃষক তাহেরুল ইসলাম ও আজাহার আলী জানান, তরমুজ চাষ কম খরচে ও কম পরিশ্রমে এত ভালো লাভজনক আগে জানতাম না। তারা আগামীতে ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষ করবেন বলে জানান।
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজের বাম্পার ফলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। লাভজনক হওয়ায় আগামীতে এ অঞ্চলে আরও বেশি পরিমাণে তরমুজের চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা চাষীদের পাশে আছি। কৃষক তাদের উচ্চ মূল্যের ফসল যাতে লাভজনক অবস্থায় নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পরে সেজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল