কালিহাতীর হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অপরিবর্তিত
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২২
পবিত্র রমজান মাসের ইফতারির রকমারি উপাদানের মধ্যে মুড়ি অত্যাবশকীয়। মুড়ির চাহিদা সারাবছর ব্যাপী থাকলেও রোজার সময় উৎপাদন এবং বিক্রি বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই মুড়ি ব্যবসায়ীরা বছর জুড়ে অপেক্ষায় থাকেন রমজান মাসের জন্য। আবার অনেকে সিজনাল ব্যবসা হিসেবে এই মাসে মুড়ি উৎপাদন এবং বিক্রি করে থাকেন। এখন মুড়ি তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
টাঙ্গাইলসহ দেশের কমপক্ষে ৫ জেলায় মুড়ি সরবরাহ হয় জেলার কালিহাতীর নারান্দিয়া থেকে। এখানকার উৎপাদিত মুড়ির সুনাম বিভিন্নস্থানে। মুড়ি উৎপাদনের সাথে নারান্দিয়ার মানুষ অনেক পূর্বে থেকেই জড়িত। এখানে দুইভাবে মুড়ি উৎপাদিত হয়, হাতে ভেজে ও মেশিনের সাহায্যে। মুড়ি উৎপাদনকারি এলাকাগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল জেলায় নারান্দিয়া শীর্ষে।
মেশিনের সাহায্যে বিপুল পরিমান মুড়ি প্রতিনিয়ত উৎপাদিত হলেও হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। একশ্রেণির মানুষ সর্বদাই হাতেভাজা মুড়ি খেয়ে থাকেন। হাতে ভেজে মুড়ি তৈরি এবং বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন বহু পরিবার। বিশেষ করে মোদক সম্প্রদায়।
কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া, মাইস্তা, নগরবাড়ী, দৌলতপুর, লুহুরিয়া ও সিংহটিয়াসহ প্রায় পনেরটি গ্রামের কয়েক’শ পরিবার হাতে ভেজে মুড়ি তৈরি করে থাকে। মোদকরা বংশ পরম্পরায় মুড়ি ভাজার কাজ করেন। একজন ব্যক্তি ১ দিনে এক থেকে দেড় মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারেন। প্রতি মণ চালে ২২ থেকে ২৩ কেজি মুড়ি হয়। প্রতি কেজি মুড়ি পাইকারি ৭৫/৮০ টাকা এবং খুচরা ৮৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মূলত গ্রামের মহিলারাই হাতে ভেজে গুণগত মানসম্মত মুড়ি তৈরি করেন।
দৌলতপুর গ্রামের কনিকা বর্মন বলেন খড়ি ২০০ টাকা মণ, ধান ১২০০ টাকা মণ। ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকানোর পর মেশিনে মাড়াই করে মুড়ি ভাজার জন্যে চাল তৈরি করা হয়। সেই চাল দিয়ে লবণ জলের মিশ্রণে আগুনে তাপ সহ্য করে বিশুদ্ধ মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। কিন্তু লাভ টিকে না।
হাসি বেগম বলেন আমাদের পরিশ্রমের দাম উঠে না। গরিব মানুষ এই কাজ কইরা অনেক দিন ধরে খাই। সরকারের কাছে আমরা সাহায্য চাই।
মিনতি রানী মোদক ও সুশীল মোদকসহ অনেকে বলেন আমরা বংশ পরম্পরায় এই মুড়ি ভাজা ও ব্যবসার সাথে জড়িত। সব কিছুর দাম বেশি। মুড়ির দাম বাড়ে নাই। দিন শেষে লাভ থাকে না বললেই চলে। সরকার থেকে যদি আমাদের সুদমুক্ত ঋণ দিতো তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারতাম।
তারা আরো বলেন লাভ বেশির ভাগই চলে যায় মধ্যসত্বভোগীদের পকেটে। রমজান মাসে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা পিকআপ, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে বস্তা ভর্তি মুড়ি কিনে টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করেন। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল থাকায় পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে নারান্দিয়ার মুড়ি সরবারহ হয়।
এদিকে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নগরবাড়ীতে ২টি, দৌলতপুরে ২টি মোট ৪টি মিলে ৫টি মেশিনের সাহায্যে মুড়ি ভাজা হয়। সততা মুড়ির মিলের স্বত্বাধিকারী শংকর চন্দ্র মোদক কালের কণ্ঠকে বলেন, ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৪২/৪৩ কেজি মুড়ি হয়। প্রতি কেজি মুড়ি আমরা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করি। পাইকাররা আবার সেই মুড়ি প্রতি কেজি কমপক্ষে ৬৫-৭৫ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করেন। রমজান মাসে প্রতিদিন ৫টি মিলে ১৫০ বস্তারও বেশি চালের মুড়ি উৎপাদিত হচ্ছে। প্রায় ৪ লাখ টাকার মেশিনে ভাজা মুড়ি প্রতিদিন কেনাবেচা হয় এই এলাকায়। কিন্তু খরচ বাদে লাভ বেশি টিকে না।
রমজানে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মুড়ি প্রতিদিন মেশিনে ও হাতে ভেজে তৈরি হলেও বছরের অন্য সময়ে অর্ধেকে নেমে আসে। শতাধিক শ্রমিক এবং কয়েক শ পরিবার প্রত্যক্ষভাবে ও বিপুল সংখ্যক মানুষ পরোক্ষভাবে মুড়ি ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে রমজানে কাজের চাপে দম ফেলার সময়টুকু পায়না মুড়ি উৎপাদনকারীরা।
হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা দিনদিন এই কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় ধাবিত হচ্ছেন এবং অনেকেই চলে গেছেন। এই পেশাকেই টিকিয়ে রাখতে উৎপাদনকারী এবং ব্যবসায়ীরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
কালিহাতীর বাসিন্দা এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু নাসের বলেন, টাঙ্গাইল তথা বাংলাদেশের মধ্যে মুড়ি উৎপাদনের অন্যতম স্থান কালিহাতীর নারান্দিয়া। এখানকার উৎপাদিত লাখ লাখ টাকার মুড়ি সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছে। এটি এক প্রকার কুটিরশিল্প। মানুষের চাহিদা পূরণে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন। বিশেষ করে হাতেভাজা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
প্রান্তিক পর্যায়ের মুড়ির কারিগররা এ মুড়ি কেনাবেচার একটি নির্দিষ্ট বাজার স্থাপন এবং সরকার থেকে হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারী ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার দাবি করেছেন।
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ নতুন ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়াতে সহায়তা দেবে আইএফসি
- এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টা, ৫০% লিখিত
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
- লক্ষ্মীপুরে দিনব্যাপী হজ্জযাত্রীদের প্রশিক্ষণ
- গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৫ জুন
- আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদারের এমডি ও তার স্ত্রী কারাগারে
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে
- নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে
- নীলফামারীতে ‘হিটস্ট্রোক’ সচেতনতায় সেমিনার
- নওগাঁয় উফশী আউশ চাষে ৫৮ হাজার কৃষককে প্রণোদনা
- শেখ হাসিনা ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন না
- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতির শপথ কাল
- শাবিপ্রবিতে ডিজিটাল এটেন্ডেন্স সিস্টেমের উদ্বোধন
- নাটোরে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান
- কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে আদেশ
- মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা
- উত্তর কোরীয় প্রতিনিধি দলের ইরান সফর
- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ জন বিচারপতি নিয়োগ
- কুমিল্লার সফল খামারীদের মাঝে চেক ও পুরস্কার বিতরণ
- ভোলায় ৬০ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ
- বগুড়ায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত
- সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- আগামীতে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- ভেন্ডিং মেশিনে পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট, আর নয় টিকিটের লাইন
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- রেলসেতুতে যুক্ত হলো যমুনার দুই পার
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
- শোকজ শুরু বিএনপির পদধারী প্রার্থীদের