• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মধুপুরের ১২ বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীর নিবাস

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে লাল-সবুজের রঙে একতলা বীর নিবাস ভবন পাচ্ছেন টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন বীর নিবাস নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব ভবন দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধুপুরের ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বীর নিবাস পাচ্ছেন। এর প্রতিটির আয়তন ৭৩২ বর্গফুট। এ ভবনে থাকবে দুটি শোবার ঘর, রান্নাঘর, বারান্দা ও বাথরুম। প্রতিটি ভবনের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬’শ ১৮ টাকা। বর্তমানে সবকটি বীর নিবাসের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

বীর নিবাস পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফত আলী, হাসান আলী, লাল মিয়া, তরুণী বর্মণ, আব্দুল হালিম, হযরত আলী, গোলাম মোস্তফা, মফিজ উদ্দিন, অধীর চন্দ্র বর্মন, মোহাম্মদ হযরত আলী, অমেরন্দ্র সাংমা ও আ: আজিজ।

যাঁরা বরাদ্দ পাচ্ছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে, ভবন নির্মাণের কাজ চলমান। কথা হয় মধুপুর পৌর শহরের টেংরী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: আজিজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে সম্মান দিয়েছেন, এর চেয়ে চাওয়ার আর কিছু নেই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি ও ধন্যবাদ জানাই।’

অপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের লাল মিয়া বলেন, ‘উপহার পেয়ে আমি খুব খুশি। এটা আমাদের সৌভাগ্য। একসময় অনেক কষ্টে দিন কাটাইতাম। এখন আল্লাহ অনেক সুখে রেখেছেন।’

বীর নিবাসগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এলজিইডির প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ উপহারে আমরা গর্বিত। আমরা দোয়া করি, তিনি সুস্থ থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে আরো সেবা করতে পারেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আমিনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে ১২ টি বীর নিবাসের কাজ চলমান। পর্যায়ক্রমে সব কটি শেষ করা হবে। প্রতিনিয়ত কাজের তদারক করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার বীর নিবাসের কাজে যেন কোনো অনিয়ম না হয়, সরকারী নকশা অনুযায়ী আন্তরিকতা ও নায্যতার সাথে ঘরগুলি যেন করা হয় এ জন্য মাঝেমধ্যে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন তিনি। কাজ শেষ হলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল