যমুনার ভাঙন পরিদর্শনে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব

প্রতি বছরই পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা যায়। এ বছরেও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা। এ সব এলাকায় নদী ভাঙনের ফলে শতাধিক ঘর বাড়ি ও বহু ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।

যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে এসব এলাকায় প্রকল্প গ্রহণে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর তিনি স্পিডবোটে করে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।

দুপুরে তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার খাষঘুনিপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ভাঙন রোধে পাউবোর চলমান কাজের খোঁজ খবর নেন।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পরিদর্শনে এসেছেন এমন খবর জানাজানি হলে নদী পাড়ের হাজারো অসহায় পরিবার উপস্থিত হন। তারা ভাঙন কবলিত এলাকায় তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণে জোড় দাবি জানান।

এ সময় সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, “যমুনার পশ্চিম পাড় মোটামুটি বাঁধের আওতায় আসলেও পূর্ব পাড়ের বেশিরভাগ এলাকা এখনও অরক্ষিত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান হাতে নিয়েছেন তার ধারাবাহিকতায় আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে নদীর এ পাড়ও বাধের আওতায় আসবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, উপ সহকারী  প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান প্রমুখ।