• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সখীপূরে যাত্রী ছাউনিতে খাবার হোটেল, দুর্ভোগে যাত্রীরা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

যাত্রী ছাউনির দোকান লিজ নিয়ে জামানত গ্রহণসহ বেশি টাকায় দোকানগুলো ভাড়ায় চালাচ্ছেন লিজগ্রহীতারা। সেই দোকানগুলোতে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বিক্রির নিয়ম থাকলেও সেখানে রয়েছে খাবার হোটেল, মোবাইল সার্ভিসিং দোকান, ফার্মেসি, কাঁচামালের দোকান ও টি স্টল।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ পাঁচটি যাত্রী ছাউনির মধ্যে চারটিতেই এ চিত্র পাওয়া গেছে। অন্যদিকে পাঁচটি যাত্রী ছাউনির মধ্যে তিনটিতে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দুটিতে যাত্রীদের বসার বেঞ্চ নেই। একটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। প্রতিনিয়ত প্রখর রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।

সখীপুরে ২০১৩-১৪ সালে পাঁচটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। দুই কক্ষবিশিষ্ট যাত্রী ছাউনির পাকা ভবনগুলো খুবই নিম্নমানের। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও অযত্ন-অবহেলায় নির্মাণের মাত্র ৬-৭ বছরেই বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যাত্রী ছাউনিতে যাত্রী খুঁজে পাওয়া যায় না।

বড়চওনা বাজারের যাত্রী ছাউনিটি তিন কক্ষবিশিষ্ট। ছাউনিটির মাঝের কক্ষটি বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বসার জন্য। এক কক্ষে খাবার হোটেল ও অন্যটিতে মোবাইল সার্ভিসিং দোকান। দুটি কক্ষই জেলা পরিষদ থেকে লিজ গ্রহণকারী আল আমিনের কাছ থেকে হোটেল ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ-আল বাকী ও মোবাইল সার্ভিসিং দোকানদার নাঈম আহমেদ ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন।

তারা জানান, আবদুল্লাহ দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা জামানতে মাসিক তিন হাজার ও নাঈম দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা জামানতে চার হাজার টাকা ভাড়া দিচ্ছেন। যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য কক্ষটির সামনে বসানো রয়েছে পানের দোকান। আল আমিন কক্ষ দুটি ভাড়া দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কচুয়া বাজারের যাত্রী ছাউনির দোকানটিতে রয়েছে ফার্মেসি। এটি জেলা পরিষদ থেকে লিজপ্রাপ্ত হয়ে শাহেদ ইমরান আতিক জহিরুল ইসলাম তালুকদারের কাছে তিন লাখ টাকা জামানতে মাসিক চার হাজার ৫০০ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। লিজগ্রহীতা আতিক কক্ষটি ভাড়া দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।

কুতুবপুরের যাত্রী ছাউনিতে সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বেলতলী বাজারের যাত্রী ছাউনির পরিত্যক্ত দোকান কক্ষে এক ব্যক্তি কাঁচামাল বিক্রি করেন। যাত্রীকক্ষে বসার কোনো বেঞ্চ নেই। এটিতেও ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। সখীপুর পৌর শহরে থানা ঘেঁষা গুরুত্বপূর্ণ ছাউনিটি অযত্ন-অবহেলায় বেহাল দশা। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা যাত্রী ছাউনির দোকান কক্ষে রয়েছে টি স্টল। কক্ষটি ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় সড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা।

ইউএনও চিত্রা শিকারী বলেন, যাত্রী ছাউনিগুলো জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন। প্রশাসনের নির্দেশনা পেলে অবৈধ দোকানিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করা হবে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সিকদার বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি জেলা পরিষদের মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধ দোকানগুলো সরাতে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া হবে এবং দ্রুত সময়ে ছোটখাটো কাজের সংস্কার করা হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল