• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

দেলদুয়ারে নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শিশু পার্ক’

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১  

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শিশুদের জন্য তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র ছিল না। একটু বিনোদনের খোঁজে ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের নিয়ে যেতে হতো শহরের কোনো বিনোদন কেন্দ্রে। অনেক প্রত্যাশার পর এবার দেলদুয়ারে নির্মাণ হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শিশু পার্ক’।

প্রায় পৌনে দুই একর জায়গা ঘিরে উপজেলা পরিষদের সামনেই তৈরি হচ্ছে পার্কটি। দ্রুত গতিতে চলছে এটির নির্মাণ কাজ। পার্কটির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। খেলনাগুলোও সাজানো হচ্ছে। প্রধান সড়কের সঙ্গে পার্কটি নির্মাণ হওয়ায় যাতায়াত সুবিধা পাবে সব দিকের মানুষ। উপজেলার সাধারণ মানুষের ধারণা শিশুদের এবার স্বস্তি মিলবে দৃষ্টিনন্দন এই পার্কে।

২০২০ সালের ৪ জুলাই টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম পার্কটির কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার পার্কটি বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। এর আগে দেলদুয়ার উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদত কবীর উপজেলাতে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

শিশুদের জন্য পরিকল্পনা করেন একটি শিশু পার্কের। তারই ধারাবাহিকতায় জায়গা নির্ধারণ ও বঙ্গবন্ধু শিশু পার্ক নামকরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ঢাকা থেকে স্থপতি অপুকে এনে একটি সুন্দর ডিজাইন করেন। আকস্মিকভাবে বদলি হওয়ায় আটকে যায় শিশু পার্কটির বাস্তবায়ন।

পরবর্তীতে ইউএনও সাবিনা ইয়াসমিন (সুমী) ও নাদিরা আখতার পার্কটি বাস্তবায়নে তেমন কোন উদ্যোগ নেননি। এবার পার্কটির বাস্তব রূপ দিলেন বর্তমান ইউএনও মাহমুদা আক্তার। উপজেলার জন্য এমন উদ্যোগে প্রশংসিতও হয়েছেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা।

তবে পার্কটি বাস্তবায়নে টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

শিশু পার্কটি দৃষ্টিনন্দন করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন ঢাকা ইন্টেরিয়রের প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি রুস্তম আলী অপু (স্থপতি অপু)। যার তৈরি ডিজাইনে পার্কটির সৌন্দর্য অনেকাংশে বেড়েছে। অপু উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের দেওজান গ্রামের বাসিন্দা। নিজের এলাকা এবং বঙ্গবন্ধুর নামে পার্কটি হওয়াতে অনেক সময় নিয়ে ডিজাইনটি করেছেন স্থপতি।

গেটটির সৌন্দর্য আর প্রবেশ পথটি পার্কটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করেছে। তিন দিকের লেক পার্কটির সৌন্দর্যকে আরেক ধাপ বাড়িয়েছে। ভেতরের চলার পথ বেঁয়ে প্রতিটি ইভেন্টের কাছে যাওয়া আরও সহজ করেছে।

স্থপতি অপু জানান, এটা আমার নিজের এলাকা। এলাকা হিসেবে সাবেক ইউএনও শাহাদত কবীরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমার কথা হয়েছিল। পরিকল্পনা হয়েছিল কিভাবে পার্কটির সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। পার্কটির ডিজাইন অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন হবে।

বিনা পারিশ্রমিকে ডিজাইনটি করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্থপতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামের পার্কটিতে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে পেরেও আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ইমরান খান বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আমি সার্বক্ষণ পার্কটি নিয়ে কাজ করছি। জায়গাটি উপজেলা পরিষদের (সরকারি) ছিল। পার্কটি সম্পূর্ণ উপজেলা প্রশাসনের পরিকল্পায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, দেলদুয়ার উপজেলাতে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র ছিল না। প্রয়োজনবোধ থেকেই পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্ভবত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পার্কটির উদ্বোধন করা হবে।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউর ইসলাম খান জানান, উপজেলা ও জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন অর্থায়নে শিশু পার্কটি নির্মাণ হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশে বিনোদন কেন্দ্রের প্রয়োজন আছে। দেলদুয়ারে কোন পার্ক ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত পার্কটি অবশ্যই শিশুদের বিনোদনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এখন থেকে এ অঞ্চলের শিশুদের জেলা শহরে যেতে হবে না। ঘর থেকে বের হয়েই বিনোদনের সুযোগ পাবে শিশুরা।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল