• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ঘাটাইল ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আযহার জামায়াত সকাল সাড়ে সাতটায়

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২১  

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক খোলা যায়গায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠানের স্বার্থে এবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আযহা নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের জন্য গত তিনটি ঈদের জামায়াত খোলা জায়গার ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিতর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। কিন্তু এবার ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা যাবে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ঘাটাইল পৌরসভার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে সাতটায় একমাত্র জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত করা যাবে।

এ বিষয়ে পৌরমেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদ জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের একমাত্র জামায়াত ঘাটাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকাল সাড়ে সাতটার সময় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন ঘাটাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মোঃ শহীদুল ইসলাম শাহীন।

যারা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতে ইচ্ছুক, তারা সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বার্তা মেনে নিজ নিজ জায়নামাজ সহ নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে উপস্থিত থাকার জন্য সে সময় অনুরোধ জানান পৌরমেয়র।

উল্লেখ্য: ১২ জুলাই জিলহজ মাস শুরু হওয়ায় সারাদেশে আগামী ২১ জুলাই বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) উদযাপিত হবে। রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক সূত্র এ তথ্য জানায়। সভায় সভাপতিত্বে করেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

করোনা পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে ঈদুল আযহার নামাজ ঈদগাহে আদায় করার অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদগাহে বা খোলা মাঠে ঈদের জামাত আদায়ের আগে মন্ত্রিপরিষদ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এলাকার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করে ঈদগাহে জামাতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ঈদের জামাত আদায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ১২ নির্দেশনা

১) করোনা সংক্রমণের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ নাকি ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঈদের নামাজ আদায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

২) মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩) প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪) করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে মসজিদ ও ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৫) মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/ হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।

৬) ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭) ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে । ৮) শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হলো।

৯) সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০) ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

১১) করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

১২) খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখিত নির্দেশনা না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল